প্রকাশিত:
২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২:৩৩
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ১৯৮২-১৯৯০ সাল পর্যন্ত সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে আপোষহীন ভূমিকা পালন করে ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে কৃষকের ২৫ বিঘা জমির খাজনা মওকুফ করেছিলেন। ৫ হাজার টাকার কৃষি ঋণ মওকুফ করেছিলেন। বিএনপি সব সময় কৃষকের বন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়ন কৃষক দল আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান দুর্ভিক্ষ দিয়েছিল আর জিয়াউর রহমান খাদ্যে স্বনির্ভর দেশ দিয়েছিল এই ছিল শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমানের মধ্যে পার্থক্য।
অন্যদিকে তার মেয়ে শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন দিয়েছিল আর বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র দিয়েছিল। শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করে দেশ থেকে গোষ্ঠী সহকারে পালিয়েছে। খালেদা জিয়া গণতন্ত্র রক্ষায় জীবন বাজি রেখে জনগণকে রেখে দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি। এজন্য শেখ হাসিনা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সকল মন্ত্রী, এমপি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সব একসাথে পালাইছে। বাইতুল মোকাররমের ইমাম পর্যন্ত পালিয়েছে। এইরকম আজব পালানো, আজব পতন পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা ইতিহাসে দেখি নাই। অনেক অনুনয় বিনয় করে বলেছি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। কথা শোনেন নাই। অবশেষে নিজের জীবন নিয়ে বোনকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের এত কর্মী এখন কোথায় গেলো?
তিনি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীর উদ্দেশ্যে বলেন, যত তাড়াতাড়ি দুধ দিয়ে গোসল করে আওয়ামী লীগ ছাড়বেন তত তাড়াতাড়ি আপনাদের ইজ্জত বাঁচবে। কারণ শেখ হাসিনা আপনাদের নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে তার বোনকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। বেগম খালেদা জিয়া তার নেতা কর্মীদেরকে ফেলে দেশত্যাগ করেন নাই। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি মধ্যে পার্থক্য।
কৃষক দলের ইউনিয়ন সভাপতি খন্দকার লিটনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুলতান সোলায়মান, ফরিদপুর জেলা কৃষকদলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত)শহিদুল ইসলাম শহীদ, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি সাঈদ মুন্সী সাধারণ সম্পাদ আব্দুস সামাদ, ভাংগা পৌর বিএনপি নেতা বিটু মুন্সী প্রমূখ।
মন্তব্য করুন: