প্রকাশিত:
২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪:০৮
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানিতে ভেজানো কাঠবাদাম খান অনেকে। কিন্তু এর খোসা হজম হয় না। তাই সেগুলো ফেলে দেন। পুষ্টিবিদরা বলেন, কাঠবাদামের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে তাই অনেকে তা হজম করতে পারেন না। কাঠবাদামের খোসা সরাসরি না খেলেও অন্যভাবে তা কাজে লাগানো যায়।
কাঠবাদামের খোসার নানা উপকারিতা রয়েছে। তাই এটি ফেলে না দিয়ে চমৎকার কিছু কাজে ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু আলোচনা করা হলো—
প্রাকৃতিক স্ক্রাব: কাঠবাদামের খোসা দিয়ে তৈরি করতে পারেন স্ক্রাব। প্রাকৃতিক এই উপাদানের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ত্বকের ওপর জমে থাকা মৃত কোষ দূর করতেও সাহায্য করে এটি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে এটি। একটি ছোট পাত্রে কাঠবাদামের খোসা, নারকেল তেল এবং সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। হালকা হাতে মাসাজ করুন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
পুষ্টিকর পানীয়: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ কাঠবাদামের খোসা দিয়ে পুষ্টিকর পানীয়ও তৈরি করা যায়। প্রদাহ দূর করতে এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়। পাত্রে পানি ফুটে উঠলে তার মধ্যে কাঠবাদামের খোসাগুলো দিয়ে দিন। এক টুকরা আদা বা দারুচিনি দেওয়া যেতে পারে। স্বাদের জন্য অনেকে এই পানীয়ে মধুও মেশান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে ক্যাফেইন-মুক্ত এ পানীয় পান করতে পারেন।
গাছের সার: শুধু মানবদেহে নয়, গাছের ভালো সার হিসেবেও কাঠবাদামের খোসা ব্যবহার করা যায়। যেহেতু এ উপাদানটি মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যায়, তাই সেখান থেকে পরিবেশে কোনও রকম দূষণ ছড়ানোর ভয় থাকে না। সার তৈরি করতে প্রথমে বাদামের খোসা ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন। চাইলে ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিতে পারেন। তরকারির খোসা, ডিমের খোসা, ফেলে দেওয়া চা পাতার সঙ্গে কাঠবাদামের খোসার গুড়া মিশিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি করে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন।
মন্তব্য করুন: