প্রকাশিত:
৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:১৩
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘটিত সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার করে সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করা এবং জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগের দোসরের ভূমিকা পালনকারীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রদল। বিক্ষোভ মিছিল শেষে একই দাবিতে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এটিএম বুথের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে দক্ষিণ মোড় ঘুরে মূল ফটকে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা 'কুবির মাটি, ছাত্রদলের ঘাঁটি', 'একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর', 'ছাত্রলীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও', 'জিয়ার সৈনিকেরা, এক হও লড়াই করো' ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
কুবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, 'বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ দ্বারা প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও লাঞ্ছনা শিকার হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাতে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে এই প্রেক্ষিতে আজ ভিসি বরাবর স্মারক লিপি জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব শীগ্রই তাদের চিহ্নিত করে, তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করে এবং যাথাযথ ব্যবস্থা নেবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের দোসর যারা চাকরিতে বহাল রয়েছে, যেমন বিভিন্ন শিক্ষক ছাত্রলীগের পৃষ্টপোষকতায় অন্যায় কাজে জড়িয়ে ছিল। শিক্ষক ও কর্মচারী সকলকে চিহ্নিত করে প্রশাসন আইনের আওতায় আনবে এটি কুবি শাখা ছাত্রদলের দাবি। শান্তি সুশৃঙ্খল ক্যাম্পাস গঠনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বদ্ধ পরিকর। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট বা দোসরা যাতে আর ক্যাম্পাসে আর অবস্থান না নিতে পারে। প্রত্যেকটি হল, বিভাগ থেকে তাদের বিতাড়িত করা হবে।'
কুবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'আপনারা জানেন ৫ই আগষ্ট স্বৈরচারি সরকার পতনের পরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে ফ্যাসিস্টের লোকগুলো বসে আছে। ফ্যাসিস্টরা এখন আবার মাথা চাড়া দিচ্ছে, তারা আবার সংগঠিত হয়ে দেশটা অস্থিতিশীল করতে চায়। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এই ফ্যাসিস্টরা যাতে আবার সংগঠিত হতে না পারে এবং তাদের প্রতিরোধ করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে নিয়ে আমরা ঐক্যবোধ্য।'
তিনি আরও বলেন, 'যারা অপরাধী তারা যেন অপরাধের শাস্তি পায়। বিশৃঙ্খলা কারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারী সকলকে যেন আইনের আওতায় আনা হয় এই বিষয়ে আমরা ঐক্যবোধ্য এবং সকলের সহোযোগিতা কামনা করি।'
মন্তব্য করুন: