প্রকাশিত:
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হাজী আব্দুল করিম ও সামর্তবান বেগম ফাউন্ডেশন, মানবকল্যাণে অসামান্য অবদান রাখায় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পাঁচজন অদম্য নারীদের মধ্যে সামর্তবান বেগমকে শ্রেষ্ঠত্বের সংবর্ধনা দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বুধবার(১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিজ এলাকায় ফিরে এসে এই নারী এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
ঢাকা বিভাগে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ট ৫ জন অদম্য নারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট তুলে দেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এনডিসি মমতাজ আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) কেয়া খান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আওলাদ হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার(উন্নয়ন) রাজা মুহাম্মদ আব্দুল হাই।
প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা যায়, হাজী আব্দুল করিম ও সামর্তবান বেগম ফাউন্ডেশন টি ৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, তার মধ্যে স্বাবলম্বী ও আত্মকর্মসংস্থান হিসাবে, মুলনীতির ১টি সম্পদ থেকে উপার্জিত সঞ্চয় থেকে ধাপে ধাপে আগামি দশ বছরের ১০টি সম্পদ করতে হবে, মানে একজন লোক দশজন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে, তা সম্ভব হবে তাদের আয়ের ১০% সঞ্চয দ্বারা। ইতোমধ্যে ৬৩ জন নারীকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে, ৪টি অটোভ্যান পুরুষদের দেওয়া হয়। যা প্রত্যাশা অনুযায়ী এগিয়ে গেলে সংখ্যা হবে ১০ গুন। এভাবে প্রতি বছর আরো নতুন করে সংযোজন করা হবে। তাই আমরা নাম দিয়েছি গ্রামভিত্তিক অতি দারিদ্র্যতা দূরীকরন। ইতোমধ্যে তিনটি গ্রামের লোক এই সূফল ভোগ করছে, এভাবে ধাপে ধাপে নতুন নতুন গ্রাম সংযোজিত হবে।
শিক্ষাবৃত্তি হিসাবে শিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য আপতত উপজেলা পর্যাযে গরীব ও মেধাবীদের জন্য ভালো একটি প্লাটফর্ম থেকে এককালীন নগদ অর্থ বা প্রাইজবন্ড, সম্মাননা সনদ, ক্রেষ্টের ব্যাবস্থা করেছে এই ফাউন্ডেশন। ২০২৪ সালে ৪০ জন গরীব ও মেধাবীদের প্রত্যকে তিন হাজার টাকার প্রাইজ বন্ড সহ সম্মাননা প্রদান করা হয়। বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকায় নুন্যতম ৭০% ছিলো নারী শিক্ষার্থী।
ইতোমধ্যে শুরু করেছে, পবিত্র রমজান মাসের মানসম্মত ইফতারের মাধ্যমে, ধাপে ধাপে আরো ব্যাপক পরিসরে করার পরিকল্পনা আছে।
বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থায় দৈনিক প্রায় ৫ হাজার লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে কারন অত্র এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট, অন্যদিকে সংকটকালীন সময়ে প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণার্তদের মাঝে ভ্রাম্যমান ভাবে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরন করা হয়।
অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় শীতার্তদের জন্য কম্বল বিতরন, স্কুলের জন্য সহায়তা, বন্যার্তদের পাশে থাকার সীমিত চেষ্টা, পথচারিদের জন্য ল্যাম্পপোষ্ট সোডিয়াম লাইট, মসজিদ মাদ্রাসা সহ নগদ অর্থ সহ অন্যান্য উপকরন।
আর দ্বিতীয় লক্ষ্য সমাজের নারী সহ বৃহৎ অংশের ভাগ্য উন্নয়নে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা, তাই দ্বিতীয় লক্ষ্যর দিকে এখন পুর্ন মনোনিবেশ দেওয়া হবে। পরিবারের সকল সদস্যরা অত্র ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অদম্য নারীর নির্দেশনায় সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গায় পৌছানোর জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান।
পরিবারের পক্ষ থেকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যাংকার রফিকুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, অদম্য নারীর মতো আমার মাতা সামর্তবান বেগমকে এতো বড় প্লাটফর্মে সুযোগ করে দেওয়ায়, সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত সম্মানিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন: