প্রকাশিত:
২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:২৫
ভোর থেকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর আকাশ ছিল মেঘলা । কয়েকদিনের টানা রোদের উত্তাপের পর আজকের সকাল ছিল ব্যতিক্রম। মেঘলা আকাশ দেখে অনেকে হয়তো বৃষ্টির সম্ভাবনা আঁচ করতে পারেননি, কিন্তু সকাল গড়াতেই সেই মেঘ মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে ঝরল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
রবিবার ( ২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালের এই আকস্মিক বৃষ্টিতে ফুটপাতের ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া মানুষ কিছুটা বেকায়দায় পড়েন। পথচারীদের অনেকেই ছাতা বা বৃষ্টির উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় ভিজতে বাধ্য হন। তবে, বিপরীত চিত্র দেখা যায় উপজেলার পলিথিন বিক্রির দোকানগুলোতে। সেখানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের। অনেকেই বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে ঘরের চালায় দেওয়ার জন্য পলিথিন কিনেছেন।স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা ছাতা মাতায় দিয়ে স্কুলে যাচ্ছেন।
রিকশাচালকরা বৃষ্টির মধ্যে ভিজে গন্তব্যে ছুটেছেন, আবার যাত্রীরাও কেউ কেউ ছাতা মাথায়, কেউ বা বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে গেছেন।
বাংলা মাসের হিসেবে রবিবার ছিল ১০ ফাল্গুন। সাধারণত, এই সময়ে কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে শীত অনুভূত হয়। তবে, এবছর শীত বিদায় নিয়েছে বেশ আগেভাগেই। মাঘ মাস শেষ না হতেই গরম পড়তে শুরু করেছে, যা ব্যতিক্রমী আবহাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
উপজেলার দিনমজুর আব্দুর রব বলেন, "ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ছে, তাই পলিথিন দিয়ে কোনো রকমে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছি।" তার মতো আরও অনেকেই বৃষ্টির কারণে সাময়িক দুর্ভোগে পড়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
ফাগুনের শুরুতে এই আকস্মিক বৃষ্টি যেমন কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করেছে, তেমনি গরমের মধ্যে স্বস্তিও এনে দিয়েছে। তবে, এ ধরনের হঠাৎ বৃষ্টি ফসলের জন্য কতটা উপকারী হবে, তা নিয়ে কৃষকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন: