প্রকাশিত:
২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১৮
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জানিয়েছে, যদি হামাস নির্ধারিত বন্দিদের মৃতদেহগুলো কোনো অপমানজনক আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ফেরত দেয়, তাহলে তারা গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যেসব ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, তাদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।
হামাসের পক্ষ থেকে এর প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, তারা চারটি মৃতদেহ হস্তান্তর করবে, কিন্তু এর বিনিময়ে ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিসহ আরও কিছু বন্দিকে একই সময়ে মুক্তি দিতে হবে। তবে ইসরায়েলের অবস্থান হলো, মৃতদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই কেবল মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে।
ওয়াইনেট নিউজ আরও জানিয়েছে, মৃতদেহ হস্তান্তর নিয়ে ইতোমধ্যে নিবিড় আলোচনা চলছে এবং ইসরায়েল আশা করছে এই আলোচনা শীঘ্রই সফল হতে পারে।
এর আগে গত শনিবার হামাস ছয় ইসরায়েলি বন্দিকে ছেড়ে দিলেও ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
২২ ফেব্রুয়ারি গাজার দুই জায়গায় ছয়জনকে মুক্তি দেয় হামাস। এর মধ্যে গাজার নুসেইরাত অঞ্চলে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয় ইসরায়েলি বন্দি এলিয়া কোহেন, ওমের শেম-টোভ, ওমের ওয়েঙ্কার্ট ও হিশাম আল-সাইদকে। এ সময় তাদের খুবই উৎফুল্ল দেখাচ্ছিল। তাদের মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মঞ্চে এলিয়া কোহেনকে হামাস যোদ্ধাদের মাথায় চুমু খেতেও দেখা যায়।
যদিও রাফায় মুক্তি দেওয়া তাল শোহাম ও আভেরা মেঙ্গিস্তু হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নুসেইরাতের সেই উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। এই দুইজনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মঞ্চে আনার সময় হামাসের দুই নিরাপত্তারক্ষী দুপাশ থেকে তাদের বগলদাবা করে মঞ্চে আনেন।
মূলত এ আনুষ্ঠানিকতা নিয়েই আপত্তি ইসরায়েলের। তারা এটাকে ‘অপমানজনক’ বলে সমালোচনা করছে। বলছে, এই হস্তান্তর অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।
নেতানিয়াহু এ বিষয়ে বলেছেন, যতক্ষণ না এই ধরনের প্রচারমূলক আয়োজন বন্ধ করা হবে, ততক্ষণ বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করা হবে না।
মন্তব্য করুন: