প্রকাশিত:
২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৪
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, সারাদেশে আজ অসংখ্য মিথ্যা মামলা হচ্ছে, মিথ্যা মামলার জন্য চাঁদা তোলা হচ্ছে ও ভয়ের রাজনীতি কায়েম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের ভাংগা দক্ষিণপাড় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন টার্মিনালে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ভাংগা উপজেলা শাখা কতৃক আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সাজ্জাদ জহির চন্দন আরো বলেন, অনেকে বলার চেষ্টা করেন চব্বিশের গনঅভ্যুত্থান ২০-২৫ দিনে হয়েছে। কথাটি সঠিক নয়। একটি অভ্যুথানের পটভূমি তৈরি করতে বহু বছর সময় লাগে। চব্বিশের গনঅভ্যুথান তৈরি হতে ১৬ বছর সময় লেগেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷
এসময় তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার এই গনঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছে। আগামীতে যেই শাসক ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চাইবে তাকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিলেও তাদের দোষররা এখনো বিদায় নেয়নি। শেখ হাসিনার আমলে যেই সিন্ডিকেট ছিলো বর্তমানেও তারা আছে। এই সিন্ডিকেট বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চলেছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। সরকার স্বীকার করছে কিন্তু সরকার কিছু করতে পারছে না।
আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার এই অবনতির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আগেকার সেই আমলারা এখনো প্রশাসনে রয়ে গেছে। সেই জন্য আইনশৃঙ্খলার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। লুটেরা যতদিন বহাল তবিয়তে থাকবে ততোদিন এই অবস্থার কোনো উন্নতি হবে না।
তিনি বলেন, চলমান ব্যবস্থার যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে গনঅভ্যুত্থানের ফসল আমাদের ঘরে তুলতে পারবো না। কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে না।
এসময় তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করবে কারণ গত তিনটা নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। তাই মানুষের মধ্যে ভোট দেওয়ার আকাঙ্খা রয়েছে। তাই দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
এসময় তিনি কমিউনিস্ট পার্টি ভাংগা উপজেলা সভাপতি কমরেড আতাউর রহমান কালুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
কমরেড আবু বকর মাতুব্বরের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড রফিকুজ্জামান লায়েক, কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড রাগীব আহসান মুন্না, ফরিদপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড অরুন কুমার শীল, ফরিদপুর বার কাউন্সিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার, ভাংগা উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত মোল্যা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা কমরেড আতাউর রহমান কালুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান এবং নিত্যপন্যের দাম কমানো ও জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানান।
মন্তব্য করুন: