প্রকাশিত:
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৫:১৯
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলঘর রাজাপুর গ্রামে এতিম খানার সম্পদ দখল করে রাস্তা করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী বিরুদ্ধে। ওই কর্মচারীর নাম মহিউদ্দিন রিপন। তিনি ঢাবি শারিরীক শিক্ষা কেন্দ্রের সিকিউরিটি হিসেবে কর্মরত আছেন।
সরজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ওই সম্পত্তির মালিক এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা মোহেব্বুল্লাহ্ মেজু হুজুর নামে সমধিক পরিচিত। উক্ত সম্পত্তি মাদ্রাসার কাজে ব্যবহৃত হয়। তিনি বলেন, আনুমানিক বিশ বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রাম লাওকোরা গোয়াল বাড়ি থেকে শফিকুর রহমান নামে একজন লোক আমাদের মাদ্রাসা ও এতিমখানার পূর্ব পাশে বাড়ি করার পর হইতে মাদ্রাসা ও এতিমখানার ডোবার দক্ষিণ পাশে দিয়ে বাঁসের সাঁকু দিয়ে যাতায়াত করে তাহাদের আসা যাওয়া কষ্ট অনুভব করিয়া আমি আমার পুকুরের উত্তর পাড় দিয়ে যাতায়াত করার অনুমতি দিয়েছি। পাশে আরও কয়েকটি বাড়ি হওয়ায় তাহারা সকলে এভাবে আসা যাওয়া করিয়া আসছে।
বিগত কিছু দিন আগে তাহারা সরাসরি আসা যাওয়ার জন্য রাস্তার আব্দার করার পর বিগত নভেম্বর ২০২৪ ইং এক সাধারণ সভায় তাহাদেরকে মাদ্রাসা ও এতিমখানার উত্তর পাশ দিয়ে রাস্তা দেওয়ার জন্য কথা আলোচনা হয়। মাদ্রাসার উক্ত সভায় রাস্তা চলাচল কারি সকল পক্ষকে মাদ্রাসা কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয় কিন্তু বিগত কয়েকমাস যাবত তাহারা কোন যোগাযোগ না করিয়া হঠাৎ অদ্য ২৫/২/২০২৫ ইং রোজ মঙ্গলবার অনুমান সকাল ৭ ঘটিকায় অভিযুক্ত মহিউদ্দিন ওরফে রিপন পিতা: মো: শফিকুর রহমান, মো: হেদায়েত উল্লাহ পিতা: মৌলভী আবুল হোসেন, মো: খোরশেদ আলম পিতা: মৃত আমির হোসেন সহ কতিপয় বহিরাগত লোক নিয়ে আমার মালিকীয় দখলীয় জমিতে রাস্তা বাঁধার জন্য বাঁশের খুঁটি গাড়তে থাকে তাদের যত বাধা দেওয়া হইতেছে তাহারা কর্ণপাত করে নাই।
এমনকি মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকগন বাধা দেওয়ায় তাহাদের উপর তাহারা ক্ষিপ্ত হইয়া তাহাদের প্রতি অশোভনীয় আচরণ করে। এমতাবস্থায় আমি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।
কিছুতেই অভিযুক্তদের মানানো যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোহেব্বুল্লাহ্। তিনি এর সুষ্ঠু সমাধান কামনা করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন রিপন থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হুজুর আমাদেরকে এখানে বাড়ি করতে সহযোগিতা করেছেন। আমরাও এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই। আমাদের বাড়ির মানুষের চলাচলের নির্ধারিত কোনো রাস্তা নেই। তাই, আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য একাজটি করেছি যেনো একটা সমাধান হয়।
মন্তব্য করুন: