শুক্রবার, ৬ই জুন ২০২৫, ২২শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ডিসিপ্লিন মানলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে যানজট-আইনশৃঙ্খলা
  • দুর্নীতিবাজরা নেই, তাই গরুর দাম কম
  • তেলের দাম কমানো হয়েছে, বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা
  • বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
  • চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত
  • শেখ মুজিব ও ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর সঠিক নয়
  • ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়
  • ৪ শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল
  • ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস আজ, কাল থেকে লম্বা ছুটি

লক্ষ্মীপুরে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য মজুতদারকে লাখ টাকা জরিমানা

তছলিমুর রহমান, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত:
১১ মার্চ ২০২৫, ১৫:৩১

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাস টার্মিনাল এলাকায় অনিবন্ধিত একটি খাদ্যদ্রব্য পরিবেশকের মালিককে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনিবন্ধিত ওই প্রতিষ্ঠানে নিন্মমানের ভেজাল শিশু খাদ্য, নকল 'চাষি ভাই' চাল, বর্ণফুল লাচ্ছি সেমাইসহ বিপুল ভেজাল খাদ্যদ্রব্য মজুদ, সরবরাহ ও বিক্রি করা হচ্ছিল।

সোমবার (১০ মার্চ) রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলম রানার নেতৃত্বে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ লক্ষ্মীপুর কর্তৃক অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।

এ সময় জামাল বেকারি নামক অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, অবহেলা ও অসর্তকতার সহিত বেকারি পণ্য উৎপাদন করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা জানান, অভিযানে অক্ষয় ষ্টোরে অনিবন্ধিত অবস্থায় নিন্মমানের ভেজাল শিশু খাদ্য, নকল চাষি ভাই চাল, বর্ণফুল লাচ্ছি সেমাইসহ বিপুল ভেজাল খাদ্যদ্রব্য মজুদ, সরবরাহ ও বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মালিক আকাশ চন্দ্র সাহাকে নিরাপদ খাদ্য আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া জামাল বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবহেলা ও অসর্তকতার সহিত বেকারি পণ্য উৎপাদন করে মানুষের স্বাস্থ্যহানি হতে পারে এমন খাবার উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে বেকারির মালিক তোহিদুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অক্ষয় ষ্টোরের মালিককে নিন্মমানের ভেজাল পণ্য মজুদ, সরবরাহ ও বিক্রি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর জামাল বেকারিকে এক সপ্তাহের মধ্যে বেকারির স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও মানসম্মত খাবার উৎপাদনে সময় বেধে দেওয়া হয়।

এই সময়য়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন না করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেন তিনি।

জনস্বার্থে এই ধরনের নিম্নমানের ও ভেজাল খাদ্যপণ্য বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

অভিযানে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ডা. সুমধু চক্রবর্তী, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মুহাম্মদ আবদুল্লা হিল হাকিম, সদরের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক তাজুল ইসলাম, কমলনগরের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর