প্রকাশিত:
২৯ আগষ্ট ২০২৩, ১৬:০৮
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর থানায় পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ এলাকার দেওয়ান মোঃ শাহ আলম সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার সোলায়মান মিয়া গং একই জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
ওই জমির মালিকানা দাবি করে গাজীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন দেওয়ান মোঃ শাহ আলম গং। কিন্তু তারপরও সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছেন প্রতিপক্ষ সোলাইমান ও তার লোকজন। পরে দেওয়ান শাহ আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেখানে ১৪৫ ধারা নির্দেশনা জারি করেন আদালত। কিন্তু ওই নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিপক্ষ সোলাইমান ও তাদের লোকজন সেখানে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ঘটনায় দেওয়ান শাহ আলম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মৌচাক ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করেন। কিন্তু একদিন পরেই প্রতিপক্ষ আবারও সেখানে নির্মাণ কাজ চালু করে। এরপর শাহ আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আরেকটি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় গত ১৭ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গত ২০ জুলাই দেওয়ান শাহ আলম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
ওই জমির দাবীদার দেওয়ান মোঃ শাহ আলম জানান, তিনি বলিয়াদীর জমিদার চৌধুরী তানভীর আহাম্মদ সিদ্দিকীর নিকট থেকে আমমোক্তার নামা দলিল মুলে মালিক হয়ে ভোগ দখলে আছি। কিন্তু পর্যাপ্ত কাগজপত্র ছাড়াই ও আদালতের নিদের্শনা অমান্য করে তৃতীয় পক্ষ সোলাইমান ওই জমি দাবী করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ করছেন।
অভিযুক্ত সোলায়মান মিয়া জানান, এটা আমার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। পৈতৃক ওয়ারিশ হিসেবে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে কাজ করতেছি। তবে আমরা শাহ আলম মিয়ার জমি জবর-দখল করে কাজ করছি না।
এব্যাপারে মৌচাক ফাড়ি পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক বিবাদী পক্ষকে কাজ বন্ধ রাখার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে আবার কেউ সেখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কিনা? এটা আমাদের জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওই জমির কাগজপত্রসহ দু-পক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন: