প্রকাশিত:
২৯ আগষ্ট ২০২৩, ১৬:৩৫
বাংলাদেশ-কোরিয়া প্রজাতন্ত্র (দক্ষিণ কোরিয়া) সম্পর্ক বিগত ৫০ বছরে অনেক এগিয়ে গেছে। আগামী ৫০ বছরে দুদেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায় কোরিয়া।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘কোরিয়া-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা: উন্নয়ন অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সুযোগ অনুসন্ধান’-শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকার কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস, কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (কোটরা) ও কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই)।
সেমিনারের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে। আগামী ৫০ বছরে এ সম্পর্ক আমরা আরও এগিয়ে নিতে চাই।
তিনি বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। তবে নলেজ ট্রান্সফার, ইনোভেশন, অ্যাগ্রিকালচার, ফুড সিকিউরিটি ইত্যাদি খাতে যৌথভাবে কাজ করার আরও সম্ভাবনা রয়েছে। এসব সম্ভাবনা উদ্ভাবন করতে হবে। এছাড়া ইপিএস কোটায় কোরিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়ে থাকে। আগামী দিনে এর আওতায় আরও সুযোগ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কোরিয়া আমাদের সত্যিকার বন্ধু। কোরিয়া বাংলাদেশের শুরু থেকেই নানা খাতে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। কোরিয়ান কোম্পানি স্যামসাং নরসিংদীতে ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। এছাড়া কোরিয়ান হুন্দাই কোম্পানি গাজীপুরে ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। এ দুটি ফ্যাক্টরির মাধ্যমে এদেশের শিল্পখাতে কোরিয়া বিশেষ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কোরিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, আমরা বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চাই। যেমনটি আমরা অতীতে আরএমজি শিল্প খাতে করেছি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া আজকের কোরিয়া সম্ভব হতো না। আমাদের বন্ধুদের সাহায্যে কোরিয়া তার অর্থনীতিকে মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তাই আমরা উন্নয়ন অভিজ্ঞতা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করে আমাদের ঋণ পরিশোধে আগ্রহী।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হেয়ক জেওং, কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেডের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ডংসু কিম, বিডার মহাপরিচালক শাহ মুহম্মদ মাহবুব, এডিবির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যান হং, কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেডের সেন্টার ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি রিসার্চ বিভাগের ড. জায়েহান চু।
এতে আরও বক্তব্য দেন- অধ্যাপক সিলিয়া শাহনাজ, আব্দুল বারী, ড. আহসান এইচ মনসুর, অ্যাডওয়ার্ড কিম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন: