প্রকাশিত:
২৯ আগষ্ট ২০২৩, ১৬:৪৭
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি বলেই এতো ষড়যন্ত্রের মধ্যেও বাংলাদেশ টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।তিনি বলেন, ‘জিয়া-এরশাদ-খালেদা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। তারা আজ গণতন্ত্রের কথা বলে। এর থেকে হাস্যকর আর কি হতে পারে? তারা জানে না বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা যায় না, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি বলেই এত ষড়যন্ত্রের মধ্যেও বাংলাদেশ টিকে আছে। ’
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খা হলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলেছি। বঙ্গবন্ধুর রক্ত কখনো সাম্রাজ্যবাদের কাছে মাথা নত করবে না। যারা সাম্রাজ্যবাদের কাছে মাথা নত করেছে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, দেশে সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। ’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে পথ সে পথ অনুসরণ করবো। তার প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি এ বাংলাদেশকে স্মার্ট এবং উন্নত দেশে পরিণত করবেন।
তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে সারাজীবন ঋণী। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশের পরিচয় দিয়েছেন। বিশ্বের অনেক জাতিরই স্বাধীনতা নেই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যেই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে দেশ সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্ট পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হরণ করার চেষ্টা করেছিল। বিএনপি-জামায়াতের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদের দোসররা দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছে। নানা সময়ে ষড়যন্ত্র করেছে, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ফজলে আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন: