বুধবার, ৪ঠা জুন ২০২৫, ২০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সব ধরনের চাকরির নিয়োগে বাধ্যতামূলক হচ্ছে এনআইডি
  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে
  • বাস্তবমুখী মিত্যব্যয়ীতার বাজেট দেওয়া হয়েছে
  • ঈদে পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে সবার ছবি তোলা হবে
  • ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি শেখ হাসিনা, ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানি
  • জুলাই সনদে কী থাকবে তা এখনই নির্ধারণ করতে হবে
  • নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান
  • সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস
  • ডিসেম্বরে চালু রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, নেপাল থেকেও আসছে ৪০ মেগাওয়াট
  • বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য থাকছে যেসব সুবিধা

‘বর্জ্য পৃথকীকরণ ও মিথেন নিরসনে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে’

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২৪ মার্চ ২০২৫, ১৭:৫৮

পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও মিথেন নির্গমন হ্রাসে বাংলাদেশকে জরুরিভিত্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বর্জ্য পৃথকীকরণ ও মিথেন নিরসনে বাংলাদেশকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

সোমবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রাম থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ‘বাংলাদেশের এনডিসি ২০২১ পর্যালোচনা: বিকেন্দ্রীকৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মিথেন নিরসন কৌশল সংযোজন’ শীর্ষক অনলাইন পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশের অপরিকল্পিত ও অদক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এখনও জাতীয় পর্যায়ে কার্যকরভাবে বর্জ্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করি না। কিছু পরীক্ষামূলক প্রকল্প থাকলেও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোবদ্ধ নয়।’

তিনি বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বর্জ্য পৃথকীকরণ কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনার কথা জানান।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমাদের শহরাঞ্চলের বড় ল্যান্ডফিলগুলো নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা হলেও সেগুলো পরিবেশগতভাবে সনদপ্রাপ্ত নয় এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজধানীর বাইরে অপরিকল্পিত বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এক স্থানীয় সরকার সংস্থাকে জাতীয় উদ্যানের সামনে বর্জ্য না ফেলতে অনুরোধ করার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নাজুক অবস্থা স্পষ্ট করে। এখনই সময় মূল কাঠামোগত সংস্কারের।’

ল্যান্ডফিল অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনে আগ্রহের কথা স্বীকার করলেও এর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিষয়ে সতর্ক করেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্জ্যে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় ইনসিনারেশন কার্যকর সমাধান নয়। আমাদের আমিনবাজার ও মাতুয়াইলের মতো ল্যান্ডফিলের জন্য স্থানভিত্তিক টেকসই সমাধান প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তার জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) পরিকল্পনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করছে, যা নির্গমন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্জ্য পৃথকীকরণ নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে তড়িঘড়ি করা অবাস্তব সমাধান গ্রহণের প্রবণতা প্রতিহত করা যায়।’

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান, ইএসডিও সভাপতি সৈয়দ মারগুব মুরশেদ এবং ইএসডিওর প্রধান নির্বাহী ও নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা।

এই পরামর্শ কর্মশালায় নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডাররা একত্রিত হয়ে বিকেন্দ্রীকৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মিথেন নিরসনের বাস্তবসম্মত কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর