শনিবার, ১২ই এপ্রিল ২০২৫, ২৯শে চৈত্র ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে গণশুনানি বাধ্যতামূলক করতে হবে
  • লাল গালিচা দেখেই রেগে আগুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন
  • ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল পিএসসি
  • শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • নীরবতা অনেক সময় সোনার চেয়েও দামি
  • ঢাকার সঙ্গে প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা বাড়াতে চায় মস্কো
  • এসএসসি পরীক্ষায় বসেছে ১৫ লাখ শিক্ষার্থী
  • বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে বাংলাদেশের
  • হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দশ মামলা দায়ের

ট্রাম্পের শুল্ক থেকে ছাড় পেলো না জনমানবহীন দ্বীপও

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্কনীতির ঘোষণা দিতে হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে হাজির হলে অনেক দেশই কঠোর পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে কেউ কল্পনাও করেনি যে, তিনি জনমানবশূন্য দ্বীপের ওপরও শুল্ক আরোপ করবেন।

ট্রাম্প প্রশাসন সব বাণিজ্য অংশীদারের ওপর সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের সাব-অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের জনমানবহীন হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জও। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছে। সেখানে কোনো মানুষ বসবাস করে না।

বার্তা সংস্থা অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, এই দ্বীপগুলো অস্ট্রেলিয়ার অংশ হওয়ায় সেগুলোকেও ট্রাম্পের নতুন শুল্কের আওতায় আনা হয়েছে।

ঘোষণার সময় ট্রাম্প একটি পোস্টার ব্যবহার করে দেখান, কোন কোনদেশ ও অঞ্চল তার নতুন শুল্কের আওতায় পড়েছে।

সাংবাদিকদের দেওয়া এক নথিতে উল্লেখ ছিল, এই দ্বীপগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা ‘মুদ্রা হস্তক্ষেপ ও বাণিজ্য বাধা’ তৈরি করে। প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ওপর ‘ছাড়কৃত প্রতিশোধমূলক শুল্ক’ আরোপ করেছে।

অস্ট্রেলীয় সরকারের ওয়েবসাইটে হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জকে ‘পৃথিবীর অন্যতম দুর্গম ও বন্যতম স্থান’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্টার্কটিক প্রোগ্রামের তথ্য অনুসারে, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ফ্রিম্যান্টল বন্দর থেকে নৌপথে সেখানে পৌঁছাতে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে প্রায় ১০ দিন সময় লাগে।

এই দ্বীপগুলো বিভিন্ন সংরক্ষিত প্রজাতির পেঙ্গুইন, সিল ও পাখির আবাসস্থল। জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এই দ্বীপগুলোতে প্রায় এক দশক ধরে মানুষের কোনো উপস্থিতি নেই বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পৃথিবীর কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়।

হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার আরও কিছু বহিরাগত অঞ্চল ট্রাম্পের শুল্ক তালিকায় রয়েছে, যার মধ্যে কোকোস (কিলিং) দ্বীপপুঞ্জ, ক্রিসমাস দ্বীপ এবং নরফোক দ্বীপ অন্তর্ভুক্ত।

হাজার দুয়েক মানুষ বসবাস করা নরফোক দ্বীপের ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা মূল অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় ১৯ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর