বুধবার, ৪ঠা জুন ২০২৫, ২০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সব ধরনের চাকরির নিয়োগে বাধ্যতামূলক হচ্ছে এনআইডি
  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে
  • বাস্তবমুখী মিত্যব্যয়ীতার বাজেট দেওয়া হয়েছে
  • ঈদে পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে সবার ছবি তোলা হবে
  • ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি শেখ হাসিনা, ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানি
  • জুলাই সনদে কী থাকবে তা এখনই নির্ধারণ করতে হবে
  • নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান
  • সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস
  • ডিসেম্বরে চালু রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, নেপাল থেকেও আসছে ৪০ মেগাওয়াট
  • বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য থাকছে যেসব সুবিধা

ফরিদা আখতার

বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া বাংলার সংস্কৃতি নয়

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:১৬

পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাত ও ইলিশ মাছ খাওয়ার রেওয়াজকে বাংলা সংস্কৃতির অঙ্গ নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, এটি একটি আরোপিত সংস্কৃতি, বিশেষ করে ঢাকাকেন্দ্রিক।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ পালিত হবে। তিনি বলেন, 'যদি জাটকা সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে ইলিশের উৎপাদন অনেক গুণে বাড়বে। উৎপাদন বাড়লে বাজারেও এর প্রভাব পড়বে, সরবরাহ বাড়বে, দামও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।'

পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়ার প্রচলন সম্পর্কে ফরিদা আখতার বলেন, 'এটা বাংলা সংস্কৃতির অংশ নয়। যারা পহেলা বৈশাখে ইলিশ কিনে খাচ্ছেন, তারা আইন লঙ্ঘন করছেন। ঢাকায় একটি রীতিমতো আরোপিত সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে—পান্তা ভাতের সঙ্গে মরিচ ভর্তা কিংবা অন্য মাছ খেলেও তো অসুবিধা নেই।'

তিনি আরও বলেন, 'বাঙালির কাছে পহেলা বৈশাখের আগের দিন—চৈত্র সংক্রান্তি—একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। ওই দিনে কোনো ধরনের আমিষ খাওয়ার রেওয়াজ নেই, বরং ১৪ প্রকার শাক খাওয়ার চল রয়েছে। আর বৈশাখের দিনটিতে বাতাসা, দই-চিড়া কিংবা ছাতুর শরবত খাওয়ার রেওয়াজ ছিল। ইলিশ না খেলে দিনটা শেষ হয়ে যায় না। আরও অনেক ধরনের মাছ আছে।'

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জাটকা রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন এবং বলেন, 'ইলিশ ধরা বন্ধ থাকলেও উৎসব থেমে থাকবে না। বরং আমাদের ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সচেতনতার এই সুযোগটাও বড় উৎসবের অংশ হতে পারে।'


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর