বুধবার, ৪ঠা জুন ২০২৫, ২০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সব ধরনের চাকরির নিয়োগে বাধ্যতামূলক হচ্ছে এনআইডি
  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে
  • বাস্তবমুখী মিত্যব্যয়ীতার বাজেট দেওয়া হয়েছে
  • ঈদে পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে সবার ছবি তোলা হবে
  • ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি শেখ হাসিনা, ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানি
  • জুলাই সনদে কী থাকবে তা এখনই নির্ধারণ করতে হবে
  • নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান
  • সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস
  • ডিসেম্বরে চালু রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, নেপাল থেকেও আসছে ৪০ মেগাওয়াট
  • বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য থাকছে যেসব সুবিধা

নাফ নদ থেকে চার জেলেকে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১ মে ২০২৫, ১৫:১১

কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া সীমান্ত এলাকায় নাফ নদ থেকে চার রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে দমদমিয়ার লাল দ্বীপসংলগ্ন নদীতে মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃত জেলেরা হলেন—আরাফাত উল্লাহ (২১), আনিস উল্লাহ (২২), মো. জাবের (১৪) ও আনোয়ার সাদেক (২৭)। তারা সবাই টেকনাফের জাদিমুড়া ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ নুর। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আজও কয়েকজন রোহিঙ্গা যুবক ড্রামের ভেলা দিয়ে নাফ নদে মাছ ধরতে যায়। সকালেই হঠাৎ করে মিয়ানমার থেকে আসা আরাকান আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা তাদের ঘিরে ধরে। অস্ত্রের মুখে চার জেলেকে নৌকাসহ ধরে নিয়ে যায় তারা। তবে আরও কয়েকজন জেলে সাঁতরে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।’

ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে জানান মাঝি মোহাম্মদ নুর।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘চার জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

স্থানীয় জেলে মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘আরাকান আর্মির ভয়ে আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। মাঝেমধ্যেই তারা জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কার্যকর কোনো প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি। আজকের ঘটনার পর জেলেদের মাঝে চরম ভীতি দেখা দিয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, সীমান্তবর্তী নাফ নদে নিরাপত্তা জোরদার না করা হলে এ ধরনের অপহরণের ঘটনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর