বুধবার, ৪ঠা জুন ২০২৫, ২০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সব ধরনের চাকরির নিয়োগে বাধ্যতামূলক হচ্ছে এনআইডি
  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে
  • বাস্তবমুখী মিত্যব্যয়ীতার বাজেট দেওয়া হয়েছে
  • ঈদে পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে সবার ছবি তোলা হবে
  • ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি শেখ হাসিনা, ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানি
  • জুলাই সনদে কী থাকবে তা এখনই নির্ধারণ করতে হবে
  • নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান
  • সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস
  • ডিসেম্বরে চালু রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, নেপাল থেকেও আসছে ৪০ মেগাওয়াট
  • বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য থাকছে যেসব সুবিধা

ইবির সাংবাদিক সংগঠন ভেঙে দেয়ার হুমকি দিলেন ক্যাম্পাস সাংবাদিক অভি

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১ মে ২০২৫, ১৮:২১

ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিক সংগঠন ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) রিপোর্টার্স ইউনিটি’কে “আর থাকবে না” বলে হুঙ্কার দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত সাংবাদিক ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ‘দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ ক্যাম্পাস প্রতিনিধি রানা আহমেদ অভি।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙ্গার পর জুলাই আন্দোনকারীদের ‘দুর্বৃত্ত’ আখ্যা দেওয়ার অভিযোগ ও হলে অবৈধভাবে অবস্থান করার কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাস সাংবাদিক ওয়াসিফ আল আবরারকে শাহ আজিজুর রহমান হলে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ওইদিন সাংবাদিক অভি ঘটনাজুড়ে উপস্থিত ছিলেন এবং এক ভিডিয়োতে ‘রিপোর্টার্স ইউনিটি থাকবে না’ বলে হুঙ্কার দিতে দেখা যায়।

জানা গেছে, সাংবাদিক অভি নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পাসে অনিবন্ধিত সংগঠন ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরাম’।

এ বিষয়ে ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি ফারহানা নওশীন তিতলী বলেন, “একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক হয়ে কোনো নিবন্ধিত ও স্বীকৃত সংগঠন ‘থাকবে না’ বলে হুমকি দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। এমন একটি স্বীকৃত সংগঠনের প্রতি প্রকাশ্যে এমন হুমকি ব্যক্তি বিশেষের অসহিষ্ণুতা ও অনৈতিকতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এ ধরণের বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতায় চরম হুমকি তৈরি করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি সাংবাদিক সমাজের স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এ ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করবো।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার কল করার পরেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে খুদে বার্তা দেওয়ার পরেও কোনো রেসপন্স পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজামান বলেন,“ আমি ভিডিও একটা দেখেছি। একজন সাংবাদিক হয়ে এরকম কথা বলতে পারে না। ঘটনার সার্বিক বিষয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিলে ২ টা তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওখানে সবকিছু পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আলোচনা হবে।”


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর