প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:২৮
এ বছর দেশে ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। সবাই সচেতন না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এ রোগের জন্য দায়ী এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করতে হবে।
খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সেপ্টেম্বর মাসের সভায় এ কথা বলেন সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমান। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিভিল সার্জন জানান, খুলনা শহরে নির্মাণাধীন ভবনগুলোয় পরিষ্কার পানি জমে থাকতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে এডিস মশা বংশ বিস্তার করতে পারে। ডেঙ্গুজ্বর উপশমে ডাবের পানি পান করার কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এ সময় সাপে কামড়ানো রোগীদের চিকিৎসায় জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যান্টিভেনম পৌঁছে যাবে বলেও জানান সিভিল সার্জন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশ মানুষের জন্য কাজ করে, মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করে। সাধারণ মানুষ তাদের চারপাশে ঘটা অপরাধ ও অপরাধী তথ্য জানালে সমাজ থেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দূর করতে পুলিশ আরও কার্যকর অবদান রাখতে পারবে। আসন্ন দুর্গাপূজা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা প্রতিরোধে পুলিশ সজাগ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যেকোনো ধরণের গুজব ও অপপ্রচার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এলাকায় নতুন কাউকে দেখলে তার কর্মকাণ্ড ও গতিবিধির ওপর প্রতিবেশিদের নজর রাখা প্রয়োজন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) সোনালী সেন সভায় জানান, মেট্রোপলিটন এলাকায় মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলছে। ফলে সম্প্রতি মাদকদ্রব্য আটকের পরিমাণ বেড়েছে। সব ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশের স্থায়ী চেকপোস্ট ও মোবাইল পেট্রোল চলমান। আসন্ন দুর্গাপূজার সময় অপরাধ প্রবণতা ও যানজট নিয়ন্ত্রণে মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ পরিকল্পনা থাকবে। এছাড়া অনলাইন জুয়া বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, মাদক সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার ত্বরান্বিত করতে যথাসময়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজিরে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সমাজে মাদকের বিস্তাররোধে পারিবারিক মূল্যবোধ ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। আসন্ন দুর্গাপূজার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধে সকল পূজা মণ্ডপে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দিতে হবে। পূজামণ্ডপের বিদ্যুৎ সংযোগ নিরাপদ হতে হবে, যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। জেলায় অধিক্ষেত্রে আগস্ট মাসে ১৬৯টি মামলা দায়ের হয়েছে, যা গত জুলাই মাসে দায়ের হওয়া মামলা সংখ্যার চেয়ে ৩৪টি কম। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে আগস্ট মাসে ২০৪টি মামলা দায়ের হয়েছে, যা জুলাই মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ২৮টি বেশি।
সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন: