রবিবার, ২৫শে মে ২০২৫, ১০ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি
  • প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েই অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে
  • ১১ হাজার ৮৫১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
  • সারা দেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে থাকছেন
  • সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার আরও ১৭৪৪
  • জুলাই ঘোষণাপত্র-বিচার-সংস্কার-নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে চায় এনসিপি
  • একনেক সভা শেষে উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সন্ধ্যায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

গরুর দেশীয় জাত হারানোর বিনিময়ে আধুনিক জাত দরকার নাই

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১৩ মে ২০২৫, ১৮:৩৬

শুধু মুনাফার জন্য নয়, দেশের প্রয়োজনে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন,গরুর দেশীয় জাত হারানোর বিনিময়ে আমাদের আধুনিক জাত দরকার নাই। দেশীয় জাত রক্ষা করে আমরা যেন দুধ ও মাংস উৎপাদন করতে পারি, সেলক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এ "Local Cattle Germplasm Improvement : Challenges and Way Forward "( 'দেশীয় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন: চ্যালেঞ্জ ও অগ্রগতির পথ') শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশীয় জাতের গবাদিপশু হারিয়ে যাচ্ছে কথাটা ঠিক নয়। উন্নত জাতের কথা বলে বিদেশি নানা জাত আনা হয়েছে। বলা হয়েছে ফ্রিজিয়ান আর ক্রসবিট ছাড়া উপায় নাই-এটা মূলত: প্রশ্নবিদ্ধ কথা। দেশীয় গরু হারিয়ে যাওয়া ঠেকাতে হবে। এটা ঠেকানোর জন্য আমরা একটা রোডম্যাপ নিতে পারি যা খুবই জরুরি। আমরা বিদেশি নানা জাত নিয়ে আসছি, ওটা টেকসই না। এর পেছনে নানা সময় শ্রম ব্যয় করছি কিন্তু তা টিকছে না।

দেশীয় জাতের গবাদিপশু সংরক্ষণ করতে পারলে মন্ত্রণালয়ের নামকরণ স্বার্থক হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি জাত যারা প্রমোট করেছেন; তারা দেশীয় গরুর জাতের বিষয়ে নেগেটিভ কথা বলেছেন। এখন বলছেন, খামারিরা কিছু বুঝে না। দেশীয় জাত সংরক্ষণ করতে পারলে প্রাণিসম্পদ নামকরণ স্বার্থক হবে। সিমেন (বীজ) এখন ব্যবসার পর্যায়ে চলে গেছে যা খুবই দুঃখজনক।

তিনি আরো বলেন, দেশের এক অঞ্চলের মানুষের সাথে অন্য অঞ্চলের মিল নাই; এমনকি খাওয়া-দাওয়া স্বভাবে মিল নেই। আমরা মানুষেরা জোনে ভাগ হয়ে আছি। তাহলে প্রাণিরাও তাই, আল্লাহর সৃষ্টি। জোন ভিত্তিক দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণে আমাদের প্রকল্প নিতেই হবে। দেশীয় জাত পালনে আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি না কেন। দেশীয় জাত পালনে এই সুবিধা দেওয়া হলে কৃষকেরা অবশ্যই দেশীয় জাত পালন করবে।

সেমিনারে অংশগ্রহনকারী বিশেষজ্ঞগণ বলেন, স্থানীয় গবাদিপশুর জিনগত বৈচিত্র্য আমাদের একটি জিন ব্যাংক বা জিনগত সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এই জিনগত বৈশিষ্ট্যগুলো ভবিষ্যতের গবাদিপশু উন্নয়নে কাজ করে থাকে। তারা আরো বলেন, বিশেষ করে তাপ সহনশীল, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী, প্রতিবছর বাচ্চা দেওয়ার প্রবণতা থাকে এমন গবাদিপশু উৎপাদনশীল ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন একটি সমন্বিত প্রজনন কৌশল। যেখানে স্থানীয় জাতকে সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রজননের উপযোগী জাত উন্নয়নে সহায়ক হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগ আয়োজিত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আক্তার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাকিলা ফারুক। এতে মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ বয়জার রহমান। স্বাগত বক্তৃতাদেন কৃত্রিম প্রজনন দপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শাহজামান খান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃত্রিম প্রজনন দপ্তরের উপপরিচালক ড. মোঃ সফিকুর রহমান। সেমিনারে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর