প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২৫, ১৩:৫২
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার এক ইউটিউবারকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পুলিশ। জ্যোতি মালহোত্রা নামের ওই ইউটিউবারের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুলসংখ্যক অনুসারী রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে তিনি পাকিস্তান সফর করেছিলেন এবং সেই ভ্রমণের একাধিক ভিডিও তার ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
হরিয়ানা রাজ্যের হিসার জেলার বাসিন্দা জ্যোতি মালহোত্রা ‘ট্র্যাভেল উইথ জিও’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন। শনিবার তাকে আটকের কথা জানায় পুলিশ। নিজ জেলা থেকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করা হলে, তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
পুলিশের অভিযোগ, আটককৃত ইউটিউবার পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো এবং হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সংবেদনশীল তথ্য পাচার করতো। এজন্য তার বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ এর প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এফআইআরে বলা হয়, জ্যোতি দু’বার পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিলেন এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মকর্তা দানিশের পরিচিত আলী আহওয়ানের সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি সেখানে তার থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন।
আহওয়ান সেখানে পাকিস্তানি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে জ্যোতির সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন এবং শাকির ও রানা শাহবাজের সাথে দেখা করিয়ে দেন। সন্দেহ এড়াতে তিনি শাহবাজের মোবাইল নম্বর ‘জাট রানধাওয়া’ নামে সেভ করেছিলেন বলেও জানায় পুলিশ।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জ্যোতি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে পর্যটন ভিসার জন্য পাকিস্তান হাইকমিশনে গিয়েছিলেন তিনি। তখন দিল্লির পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মকর্তা এহসান–উর–রহিমের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। পরে তিনি ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন জ্যোতি।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, পাকিস্তানে গিয়ে এহসান–উর রহমানের প্ররোচনায় আলী এহসান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন জ্যোতি। তিনি আবার জ্যোতিকে পাকিস্তানের দু’জন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করান।
সন্দেহ এড়াতে তাদের একজনের নাম নিজের মুঠোফোনে ভিন্ন নামে সংরক্ষণ করে জ্যোতি। পরে ওই তিনজনের কাছে ভারতসংক্রান্ত ‘সংবেদনশীল তথ্য’ সরবরাহ করেন তিনি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ মে এহসান-উর-রহিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ভারত সরকার। তার বিরুদ্ধেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। এরপর তাকে অবিলম্বে ভারত ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন: