প্রকাশিত:
২৭ মে ২০২৫, ১৮:১৩
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, ‘নৃতাত্ত্বিকগোষ্ঠী, উপজাতি সংখ্যায় ক্ষুদ্র হলেও তিনি সকলকে এক কাতারে আনতে জাতীয়তাবাদের রাজনীতি চালু করেন। তার রাজনৈতিক দর্শন, চিন্তাধারায় ছিলো জাতীয়াতাবাদী আদর্শ। তার এই আদর্শ নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেননি। তিনি ছিলেন ঐক্যের প্রতীক ও জাতীয়তাবাদী চিন্তার নায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান।’
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ ও ইউট্যাবের উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এসব মন্তব্য করেন তিনি। এতে শহীদ জিয়া’র ১৯ দফা কর্মসূচি এবং প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উপাচার্য বলেন, ‘এমডিজি ও এসডিজি চিন্তা করলে জিয়াউর রহমানে ১৯ দফাই ছিলো টেকসই উন্নয়নের মূলমন্ত্র। বিশ্ব উন্নয়ন প্রকল্পে জাতিসংঘ যে উন্নয়নের জন্য বদ্ধপরিকর সেটা দেখো এবং সে অনুযায়ী কাজ করো। জিয়ার দর্শন ১৯ দফায় মৌলিক প্রয়োজন, নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়ন সবই অন্তর্ভুক্ত আছে। আপনারা তাকে বুদ্ধিভিত্তিক দৃষ্টিতে দেখবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি চর্চা করে আর যারা গ্রামে রাজনীতি করে তাদের চিন্তার মধ্যে পার্থক্য থাকা উচিত। কারণ আপনাদেরই তাদেরকে চিন্তার খোরাক দিতে হবে। বাকশালের মাধ্যমে মুজিব একটি গণতন্ত্রকে যেভাবে ধ্বংস করেছিলেন, জিয়াউর রহমান ধ্বংসস্তূপে থাকা গণতন্ত্রকে অংশগ্রহণ মূলক সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন করেছিলেন।’
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউট্যাব সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. তোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া মূখ্য আলোচক হিসেবে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, আলোচক হিসেবে ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফারুকজ্জামান খান, প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে ইউট্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এসময় জাতীয়তাবাদী বিভিন্ন সংগঠন, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রদল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন: