প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৪
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এবার সেই ৫ হাজার টন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাজারে ইলিশের দাম চড়ার পরেও রপ্তানির সিদ্ধান্ত কেন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইলিশ আমরা নিয়মিত রপ্তানি করিনি। শুধু দুর্গাপূজায় যেসব বাঙালি আমাদের মতো ইলিশ খেয়ে থাকেন, তাদের জন্য এই উৎসবের সময় শুভেচ্ছাস্বরূপ ইলিশ দেওয়া হয়। যেমন, আমের সময় আমরা আম পাঠাই। সারা বছর কিন্তু আমরা এক ছটাকও ইলিশ রফতানি করিনি। এই ১৫ দিন কিংবা এক মাসের জন্য টোকেনস্বরূপ কিছু ইলিশ রপ্তানি করব।
দেশে বছরে ছয় লাখ টন ইলিশ উৎপাদন হয়, এমন তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেই হিসাবে প্রতিদিন যদি আমরা ধরি, তাহলে গড়ে দুই হাজার টন ইলিশ ধরা হয়। বড়জোর ইলিশ পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করব। তাতে সারা বছরের দুই দিনের উৎপাদন আমরা তাদের দেব এই পূজার সময়।
তিনি বলেন, পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি আমাদের লক্ষ্য। গত বছর এই সমপরিমাণ দিয়েছি। আগের বছরও পাঁচ হাজার কিংবা তিন হাজার দিয়েছিলাম। তিন হাজার দিয়ে যদি পারি, তাহলে এর বেশি আমরা দেব না।
এতে বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন টিপু মুনশি।
কবে থেকে এটা কার্যকর হবে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা পূজার সময়ে প্রতি বছর দিই। এবারও দেব। আর বিষয়টি আবেদনের ওপর নির্ভর করে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে হয়ত ৫০ টন করে দেব। এ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৬৫টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। তাতে তিন হাজার বা সাড়ে তিন হাজার টন ইলিশ পাঠানো হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫০ মেট্রিক টন করে মোট ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
ইলিশ রপ্তানির শর্তে বলা হয়েছিল, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে; শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানি করা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে; প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে; অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না।
মন্তব্য করুন: