বুধবার, ৪ঠা জুন ২০২৫, ২০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সব ধরনের চাকরির নিয়োগে বাধ্যতামূলক হচ্ছে এনআইডি
  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে
  • বাস্তবমুখী মিত্যব্যয়ীতার বাজেট দেওয়া হয়েছে
  • ঈদে পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে সবার ছবি তোলা হবে
  • ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি শেখ হাসিনা, ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানি
  • জুলাই সনদে কী থাকবে তা এখনই নির্ধারণ করতে হবে
  • নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান
  • সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস
  • ডিসেম্বরে চালু রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, নেপাল থেকেও আসছে ৪০ মেগাওয়াট
  • বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য থাকছে যেসব সুবিধা

মাহদী আমীন

নির্বাচনী ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চায় বিএনপি

প্রেস রিলিজ

প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৫, ১৩:১৮

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা ও পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজৈনতিক দলের নেতারা। তারা বলেন, তরুণরা সচেতন হলে এই সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব। তবে নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে বলেও মত দেন রাজনৈতিক নেতারা।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘মেনিফেস্টো টক : ইয়ুথ, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন রাজনীতিবিদরা।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ডক্টর মাহদী আমীন বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার বড় বড় প্রকল্পের নামে পরিবেশ ধ্বংস করেছে। উন্নয়নের নামে বিভিন্ন প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। কোন প্রকল্প হাতে নেয়ার সময় তা পরিবেশবান্ধব কিনা তা নিয়ে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষাই করেনি পতিত শেখ হাসিনার সরকার। ডক্টর মাহদী আমীন বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে পরিবেশ ধ্বংস হতে পারে নির্বাচনী ইশতেহারে বিএনপি এমন কিছু রাখবে না।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট ডিয়াউর রহমান সবুজ বিপ্লবের যে পরিকল্পনা করেছিলেন তা বাস্তবায়ন করা হবে। দেশব্যাপি সবুজায়ন বাড়াতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল গাছ লাগানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলেও জানান ডক্টর মাহদী আমীন।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন সময় এসেছে জলবাযু পরিবর্তন ও পরিবেম রক্ষার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এব ছাতায় আসার। কারণ সময় যত যাচ্ছে বাংলাদেশ ততই জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকীর মুখে পড়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বিষয়টি গুরুত্ব দিবে। তবে যারা নদ, নদী, খালবিল দখল করছে, বন উজার করছে তারা আগমী নির্বাচনে যে প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করুক না কেন তাদের যেন তরুনরা ভোট না দেয় সেই আহবান জানান সাইফুল হক।

ম্যানিফেস্টু টক এর কনভেনর হাবিব রহমান বলেন, তরুণদের সাথে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করলে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে মুক্ত হতে পারবে বাংলাদেশ।।।

ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তাদের দলে জলবায়ু ও পরিবেশের বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব সহকারে রাখা হয়েছিলো। সামনের নির্বাচনেও তরুণদের এই আকাঙ্খার প্রতিফলন করবে তার দল। তবে যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় নাও যেতে পারে তার দল তবুও তরুণদের এই দাবির সাথে কাজ করবে এনডিএম।

বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, তরুণের শক্তিই পারে জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে। তিনি বলেন, এরইমধ্যে তার দল ইশতেহার নিয়ে কাজ শুরু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের বিষয়টি তারা তাদের ইশতেহারে কতটা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় রাখবে। তবে তরুণরা যদি নিজেদের অভ্যাস না বদলায় কিম্বা দায়িত্বশীল না হয় তাহলে বাজেট কিম্বা ইশতেহারে যতই গুরুত্ব দেয়া হোক জলবায়ু পরিবর্তন কিম্বা পরিবেশ দূষণ কোনটাই রোধ করা যাবে না।

ম্যানিফেস্টু টক- ইয়ুথ-ক্লাইমেট এন্ড ইনভায়রনমেন্ট শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এটি এখন শুধু বাংলাদেশর ইস্যু নয়, এটি বৈশ্বিক সংকট। উন্নত দেশগুলোর কারণে আমাদের মত নিম্ন আয়ের দেশ ক্ষতির মূখে পড়ছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন ভাবতে হবে কিভাবে এই সংকট কাটাতে তরুণদের যুক্ত করা যায়। গণ অধিকার পরিষদের সাধারন সম্পাদক রামেদ খান বলেন, রাজধানী ঢাকা এখন পরিবেশ বিপর্যযের শীর্ষে। মানুষের সচেতনতা বাড়াতে না পাড়লে শুধু রাজনৈতিক ম্যানিফেস্টুতে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলে সমাধান আসবে না।

জলবায়ু পরুবর্তনের ক্ষতি ও পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবেলায় তরুণদের দাবিগুলোর সাথে একমত প্রকাশ করেন গণ সংহতি আন্দোলনের নেতা আবুল হাসান রুবেল। বলেন, ২০১৮ সালে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথম দিকে রাখা হয়েছিলো জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের বিষয়টি। পরিবেশ রক্ষা করতে না পারলে শুধু ভোট দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানান গণ সংহতির নির্বাহী কো-অর্ডিনেটর আবুল হাসান রুবেল। বলেন, তাই তরুণদের মতামতকেও নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব দিবে তার দল।

৫ আগস্টে নেতৃত্ব দেয়া বসাংলাদেশের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র জয়েন্ট কনভেনর আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, দখলদাররা কোন না কোন ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পরিবেশ, নদী, খাল,বিল, বন ধ্বংস করছে। তরুনদের নেতৃত্বে গড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি সব সময় তরুণদের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। পরিবেশ বিপর্যয় হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত নিবেনা এনসিপি জানান তরুণ এই নেতা।

ম্যানুফিস্টু টক- ইয়ুথ-ক্লাইমেট-এনভায়রনমেন্ট আলোচনা সভার প্রধান অতিথী বন পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকার পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। বায়ু দূষন, নদী দখলরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দলখদারদের ছাড় দেয়া হবে বলে জানান বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। তবে এই সংকট মোকাবেলা করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোরও সহযোগীতা দরকার বলে জানান তিনি। কাজ করতে গিয়ে তরুণরা যেন অর্থের লোভে পড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সব বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখার পরামর্শ দেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ তরুণদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় তার সংস্থা কাজ করছে। কিন্তু একটি মহল তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও তেমন সহায়তা মিলছে না বলে অভিযোগ করেন উত্তরের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। রাজধানীকে রক্ষা করতে হলে চারপাশের নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে। রাজধানীতে সবুজ বাড়াতে তরুণদের নিয়ে এরইমধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ শুরু করেছে বলে জানান প্রশাসক এজাজ।

পরিবেশ কর্মী শরীফ জামিল বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মাতারবাড়ি, পায়রাসহ বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে এই এলাকার পরিবেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। বিগত সরকার কারো কথাই কানে নেয়নি বলে জানান শরীফ জামিল। রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব না দিলে সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না বলে মত দেন তিনি।

বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থ কিভাবে লুটপাট হয়েছে সেই তথ্য তুলে ধরেন সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরী রির্সাচ এন্ডি ডায়ালড এর প্রধান নির্বাহী মো: শামসুদ্দোহা। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় যে অর্থ আসতো তার বেশিভাগই ব্যায় হতো স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে। এসব করা হয়েছে লুটপাটের কারণে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে জলবায়ু অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছত্বা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান শামসুদ্দোহা।

অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদারের মতে তরুণদের এগিয়ে আসা নতুন সম্ভাবনা তৈরী করেছে। তবে পরিবেশ সুরক্ষায় রাজনৈতিক দলের সুস্পষ্ট এডেন্ডা না থাকলে বাংলাদেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে না।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রানী ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আকতার বলেন, হাওর-বাওড় টিকে থাকলে বাংলাদেমও টিকে থাকবে। সবাইকে নিয়ে এ ধরনের আলোচনা আরো বেশি বেশি করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকেও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে আর সেটা তরুণদের দ্বারাই সম্ভব হবে। এটি করতে পারলেই পরিবেশ কিম্বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে জানান প্রাণী ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আকতার।

ম্যানিফেস্টু টক- ইয়ুথ-ক্লাইমেট-এনভায়রনমেন্ট শীর্ষক ডায়ালগটি আয়োজন করে সচেতন ফাউন্ডেশন, ব্রাইটার্স, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরী, রির্সার্চ এন্ড ডায়ালগ, সেন্টার ফর এটমোশফেয়ার পলুশন স্টাডিস, সেন্টার ফর ক্লাইম্ট চেঞ্জ এন্ড এনভায়রনমেন্ট রির্সাচ, হিউমেন, সেফটি ফাউন্ডেশনসহ মোট ১৫ টি পরিবেশবাদী সংগঠন।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ বিষয়ক তুরুণদের নতুন জোট বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাইমেট কোয়ালিশনের উদ্বোধন করেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি তরুণদের এই উদ্যোড়ের সফলতা কামনা করেন।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় তরুণদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় তরুণদের লোভ, ক্ষমতার মোহ, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে দূরে থেকে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

বায়ুদূষণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকার তিনটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে- পুরোনো বাস অপসারণ, ইলেকট্রিক যানবাহন চালু এবং ঢাকার চারপাশে নতুন ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ।

উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা উন্নয়ন চাই, তবে প্রকৃতিকে ধ্বংস করে নয়। জলাশয় ভরাট, পাহাড় কাটা কিংবা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অবহেলা চলতে পারে না। প্রকৃতিকে সম্মান জানিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে।

পলিথিন বন্ধে নাগরিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শুধু সরকারের নয়, সবার দায়িত্ব পরিবেশ রক্ষা করা। বাজারে গেলে পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করুন। পরিবেশ রক্ষা গণতান্ত্রিক দায়িত্ব, একার নয়।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তিনটি মডেল প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, টেকসই, পচনশীল ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে।

আমিনবাজার ও মাতুয়াইলের ময়লার স্তূপ থেকে সৃষ্ট আগুন জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আশপাশের মানুষের ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে- এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে।

গাছ সংরক্ষণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রাস্তা সম্প্রসারণের নামে পুরোনো গাছ কাটা চলবে না। গাছ রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে। বন বিভাগ ও গণপূর্ত মিলে জাদুঘরের নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে গাছ রক্ষার চেষ্টা করছে- এটাই আশার বার্তা।

তিনি আরও জানান, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হওয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব গাছ লাগানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে তিনশর বেশি তরুণ জলবায়ুকর্মী অংশগ্রহণ করেন। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এতে অংশ নিয়ে নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ে অবস্থান তুলে ধরেন এবং জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই মেনিফেস্টো টকের আয়োজন করে জলবায়ু আন্দোলনে যুক্ত তরুণদের নেতৃত্বাধীন ১৬টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ইয়ুথ ক্লাইমেট কোয়ালিশন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর