বুধবার, ১১ই জুন ২০২৫, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাজ্যে ড. ইউনূসের প্রথম দিনের কর্মসূচিতে যা রয়েছে
  • রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাঁচের ঘর করে দেওয়া হবে
  • বাড়ছে করোনা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা
  • যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • জুলাই গণহত্যা মামলায় বেশি নাম থাকায় তদন্তে বিঘ্ন ঘটছে
  • লন্ডন পৌঁছে হোটেল ল‌বিতেই একাধিক বৈঠক করবেন ড. ইউনূস
  • আজ বায়ুদূষণে চতুর্থ ঢাকা
  • হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু আজ
  • ভয়ংকর রূপে ফিরেছে করোনা, ভারত ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা
  • ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল

ভয়ংকর রূপে ফিরেছে করোনা, ভারত ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২৫, ১১:২০

ভারতে আবারও ভয়ংকর রূপে ফিরে এসেছে করোনা। ২০২০ সালে মহামারি হিসেবে আবির্ভূত ভাইরাসটির হাফ ডজন নতুন ভেরিয়েন্টের দেখা মিলেছে ইতোমধ্যে। একদিকে যেমন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ, তেমনি অন্যদিকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে।  

এ অবস্থায় ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব দেশে ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এ সতর্কবার্তা জারি করে।

এতে বলা হয়, ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ ও এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বিভিন্ন দেশে বাড়ছে, যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি জোরদার করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, দেশে প্রবেশের পথে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে জনসচেতনতা বাড়াতে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রচার করতে হবে এবং জনগণকে ভারতসহ সংক্রমণপ্রবণ দেশগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে, আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা বলছেন, করোনার আরও দুটি নতুন ধরন—এক্সএফজি ও এক্সএফসি শনাক্ত হয়েছে, যেগুলো অমিক্রন জেএন-১ এর উপধরন এবং এদের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। এ পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দিনে সাতবার বা প্রয়োজন মতো অন্তত ২৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নাক-মুখ ঢাকতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

সন্দেহজনক রোগীদের বিষয়ে বলা হয়েছে, কেউ অসুস্থ হলে তিনি যেন ঘরে থাকেন এবং প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। রোগীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হয়েছে এবং জটিল পরিস্থিতিতে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ ও সর্বসাধারণের সতর্কতা বজায় রাখার মাধ্যমেই এই নতুন সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব বলেও উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর