প্রকাশিত:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৭
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার রিভেরি স্কুলের ২৫০ শিক্ষার্থীকে নিখরচায় চক্ষুসেবা দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে এ চক্ষুসেবা কার্যক্রম চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
সকালে শিক্ষার্থীদের চক্ষু সচেতনতায় ও চোখের যত্নে প্রয়োজনীয় করণীয়বিষয়ক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে প্লে থেকে কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চোখ পরীক্ষা করা হয়। প্লে থেকে কেজি শ্রেণি পর্যন্ত ১৫০ শিক্ষার্থীর চোখ পরীক্ষা করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি চোখ পরীক্ষা, পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়। কোনো শিক্ষার্থীর চোখে সমস্যা দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এরপর প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা দেয় বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এসব শ্রেণিতে ১০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনসালটেন্ট ডা. তাসরুবা শাহনাজ বলেন, কোন শিক্ষার্থীর চোখে কী অবস্থা, চোখ ড্রাই হচ্ছে কি না, বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে তাদের ধারণা দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কাজটি হচ্ছে এ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চোখের যত্ন নিতে ধারণা পাচ্ছে, সচেতন হবে।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রামের আওতায় এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ সেবা কার্যক্রমে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকসহ সাতজন কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন।
রিভেরি স্কুল স্বাস্থ্য সচেতনাবিষয়ক মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে। এ স্বাস্থ্য সচেতনতার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়া, দাঁত ব্রাশ করা, শরীরের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে চক্ষুসেবাদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। চক্ষুসেবা কার্যক্রমে সেবা দিচ্ছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
রিভেরি স্কুলের প্লে-কেজি শ্রেণির শিক্ষক ও সমন্বয়ক রাহাত নিগার বলেন, বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এ চক্ষুসেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চোখের সেবা নিতে উৎসায়িত হবে। সে রকম করেই ধারণা দেওয়া হচ্ছে। খেলাধুলার মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা যেমন লেখাপড়া শেখে, চোখের যত্নেও সে রকম মনোযোগী হবে।
শিক্ষার্থীরা এখন মোবাইল ফোনে বেশি আসক্ত হচ্ছে। এর মাধ্যমে চোখের ক্ষতি হয়। মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ক্ষতি হয় লেখাপড়ারও। আজকের চক্ষুসেবা কার্যক্রমের শুরুতে চিকিৎসক এ বিষয়ে ধারণা দেন, যা শিক্ষার্থীদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে খুবই কাজে লাগবে- উল্লেখ করেন এ শিক্ষক।
মন্তব্য করুন: