সোমবার, ৫ই মে ২০২৫, ২২শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা
  • ভিসা আবেদন না করায় ১৪ হজ এজেন্সির কাছে ব্যাখ্যা তলব
  • স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’ উপ-প্রেস সচিব
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
  • রপ্তানি ট্রফি নীতিমালা সংশোধনে বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি
  • এনায়েত উল্লাহর ১৯০ গাড়ি জব্দের আদেশ
  • মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
  • অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে না
  • এবার কোরবানিযোগ্য পশু ১ কোটি ২৪ লাখ
  • স্থায়ী একটি গণমাধ্যম কমিশনের সুপারিশ করেছি

বাবা-মাসহ ‘অ্যাসিড’ সন্ত্রাসের শিকার হলো ১৮ মাসের শিশু

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৭ জানুয়ারী ২০২৪, ১৭:০০

বরিশালে চাচাদের ছোড়া অ্যাসিড জাতীয় তরলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে ১৮ মাসের এক মেয়ে শিশুর। তার বাবা-মাও এই অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন।

ধারের টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে এ ঘটনার শিকার হয়েছেন, এমন দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা। আর এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগীরা বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার চর নেহালগঞ্জ এলাকার রশিদ হাওলাদারের বাড়িতে অ্যাসিড সন্ত্রাসের ঘটনাটি ঘটে। এসিডে মুখ ঝলসে যায় রিয়াজ হাওলাদার নামে এক দিনমজুরের। তিনি জানান, প্রতিবেশী ও সম্পর্কে চাচাতো ভাই ফিরোজ ও মিরাজদের সঙ্গে তার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। কয়েকবছর আগে তার কাছ থেকে ফিরোজ ও মিরাজ এক লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। ওই টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময় নানা টালবাহানা ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন চাচাতো ভাইরা।

রিয়াজ, আমাদের ঘরেই ঘটনাটি ঘটে। স্ত্রী খাদিজা বেগম ও ১৮ মাসের সন্তান জান্নাতীসহ আমরা শুয়ে ছিলাম। রাত ৯টার পরে ঘরের জানালা দিয়ে আমাদের ওপর অ্যাসিড হামলা চালানো হয়। আমার চাচা খালেক হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ-মিরাজ এবং নিজাম ও নাসির ঘটনার সময় আমার ঘরের সামনে ছিল। অ্যাসিডে খাদিজার শরীরের পেছনের অংশ জান্নাতী ও আমার মুখসহ শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে পুড়ে গেছে। স্থানীয়রা গণ্ডগোল টের পেয়ে এগিয়ে এসে আমাদের শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।

খাদিজা বেগম দোষীদের শাস্তি দাবি করে বলেন, টাকা-পয়সা ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকলে আমাদের সাথে আছে। কিন্তু অবুঝ শিশু সন্তানটি কি দোষ করেছে? ওর গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করার কি দরকার ছিল। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, থানায় ঘটনাটি নিয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অ্যাসিড নিক্ষেপের সত্যতা পেয়েছে। জড়িতদের আটকের অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা আত্মগোপনে চলে গেছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়ে মুকুল বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছ। যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর