সোমবার, ৫ই মে ২০২৫, ২২শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আ. লীগ আমলে অনুমোদন পাওয়া গণমাধ্যমের বিষয়ে তদন্ত করা হবে
  • পদত্যাগ করেননি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম
  • অতি দরিদ্র ২০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার সুপারিশ
  • সৌদি আরবে আরও দক্ষকর্মী নিয়োগের আহ্বান আসিফ নজরুলের
  • দেশের ৬৭ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ
  • ১৬ মে থেকে শতভাগ অনলাইনে ‘দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের’ আবেদন
  • ছয় বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
  • কলাবাগান থানার ওসি-এসআই প্রত্যাহার
  • প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ
  • প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

মদন উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সাত গ্রামের টেঁটাযুদ্ধ নিষ্পত্তি

মেহেদী হাসান আকন্দ,নেত্রকোণা

প্রকাশিত:
১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৫:৫৮

জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেত্রকোণার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সাত গ্রামে বছর ব্যাপী চলছিল টেঁটাযুদ্ধ। শুক্রবার মদন উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় বছর ব্যাপী সেই টেঁটাযুদ্ধ নিষ্পত্তি হয়েছে। দীর্ঘদিনের এই সংঘাত নিষ্পত্তি হওয়ায় সাত গ্রামের জনসাধারণসহ এলাকায় স্বস্থি ফিরেছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন আগে নায়েকপুর ইউনিয়নে দুইটি গ্রুপের সৃষ্টি হয় নোয়াগাও, পাছআলমশ্রী, বাউশা, তালুককানাই (একটি গ্রুপ) গ্রামের সাথে পাশের গ্রাম আলমশ্রী, দেওয়ানপাড়া ও মাখনার (অপর গ্রুপ) বিরোধ চলমান ছিল। এ নিয়ে এলাকায় বার বার উত্তেজনা দেখা দেয়। ইতিপূর্বে দু-পক্ষের মাঝে বছর ব্যাপী টেঁটাযুদ্ধ চলমান ছিল। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দু-পক্ষের বিভেদ নিস্পত্তি করা জন্য কয়েক দফা আপ্রান চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই পক্ষের হাজার হাজার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশত লোকজনও আহত হন। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। এর পরেও তারা প্রতি মাসেই টেঁটাযুদ্ধ অব্যাহত রাখে। এতে করে ওই সাত গ্রামের জনসাধারণসহ এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে মাস তিনের আগে প্রশাসন এক রাতে সাতটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় মদন থানার পুলিশ বাদী হয়ে দুই পক্ষের ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর পরেও একাধিক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে আলোচনা সভার সিদ্ধান নেন।

শুক্রবার মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলন কক্ষে বিরোধ নিষ্পত্তি সভা অনুষ্ঠিত। সভায় মদন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম সাইফ, মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ কদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীম, সহ-সভাপতি ইফতেখারুল আলম চৌধুরী আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি আনোয়ার হোসেন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ দুই পক্ষের শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান,‘নায়েকপুর ইউনিয়নের সাত গ্রামের টেঁটাযুদ্ধ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য লোকজন আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে। দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাযুদ্ধ আর করবে না বলে কথা দিয়েছে। ওই এলাকাসহ উপজেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সর্বদায় সচেতন থাকবে।’

উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন,‘নায়েকপুর ইউনিয়নের সাত গ্রামের লোকজনের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ চলমান থাকায় সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার বিঘ্ন ঘটে ও শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হচ্ছিল। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের লীগের নেতৃবৃন্দ, এলাকার গন্যমান্য লোকজন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে নায়েকপুর ইউনিয়নের সাত গ্রামের চলমান টেঁটাযুদ্ধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষের শতাধিক লোকজনের উপস্থিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আর কোন টেঁটাযুদ্ধ হবে না বলে এলাকাবাসী আশাবাদ প্রকাশ করেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর