বুধবার, ৭ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নতুন পদ্ধতি চাইল এনসিপি
  • অসুস্থ মাকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন জোবাইদা
  • ঈদুল আজহায় লম্বা ছুটি ঘোষণা
  • ফিরে এলেন আপোষহীন নেত্রী
  • টেকসই উন্নয়নের জন্য সকল খাতে ন্যায্য রূপান্তরের আহ্বান
  • সনদ তৈরির পথরেখা দ্রুতই দেয়া হবে
  • অবৈধ অভিবাসন বন্ধে ইতালির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই
  • উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টা
  • ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন খালেদা জিয়া
  • ঢাকার পথে খালেদা জিয়া

শেখেরচর-বাবুরহাটে অগ্নিকাণ্ড, প্রায় ৩২ দোকান পুড়ে ছাই

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪০

দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কাপড়ের হাট প্রাচ্যের ম্যানচেস্টারখ্যাত শেখেরচর-বাবুরহাটের জিয়াউদ্দিন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মার্কেটের ৩২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখানকার প্রায় সব দোকানে থ্রিপিস, বিছানার চাদর ও তোশকের কাপড় ছিল। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।

তবে আগুনে কেউ হতাহত হয়নি।
শনিবার (১৬ মার্চ ) দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে, গত বছরের ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১১টার দিকে হাটের বণিক সমিতির পুরাতন অফিস সংলগ্ন গলিতে ভয়াভয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এতে প্রায় ৭০টি দোকানের প্রায় শতকোটি টাকার কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।
হাটের ব্যবসায়ী, বণিক সমিতির নেতারা, ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক হাটবার। তবে বৃহস্পতিবার ও রবিবার অর্ধবেলা পাইকারি এই হাটে বেচাকেনা চলে। ছোট-বড় প্রায় পাঁচ হাজার দোকান রয়েছে এই হাটে।


ঈদ সামনে রেখে প্রায় প্রত্যেক দোকানেই প্রচুর কাপড় তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে হঠাৎ জিয়া মার্কেটের গলিতে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয়রা।
মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওই মার্কেটের ৩২টি দোকানে। ভয়াবহ আগুনের ধোঁয়া ও লেলিহান শিখায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দোকান মালিকরা লোকজন নিয়ে মালামাল সরানোর চেষ্টা ও আগুন নেভানোর কাজে নামেন।


অনেক ব্যবসায়ী আগুনের ভয়াবহতা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
খবর পেয়ে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের ২টি, নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের ২টি, পলাশ ফায়ার সার্ভিসের ২টি ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের একটি ইউনিটসহ মোট ৭টি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে থ্রিপিস, বিছানার চাদর ও তোশকের কাপড়ের ৩২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। এসব দোকান থেকে কোনো কাপড় সরানো যায়নি বলেও জানান তারা।

নরসিংদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শিমুল মো. রফি বলেন, খবর পেয়ে আমাদের মোট ৭ ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় ৩২টি দোকান পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সাকিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর