বৃহঃস্পতিবার, ১৫ই মে ২০২৫, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে শিগগিরই
  • নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নাশকতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক পুলিশ
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে পুর্নবাসন অধ্যাদেশ
  • গত ৯ মাসে কোনো সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেনি সরকার
  • প্রবাসীদের ভোটার হতে দিতে হবে চার তথ্য
  • ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২০০১ মামলা
  • ১২ লাখ শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ আজ
  • ভয়াবহ বায়ুদূষণে পঞ্চম ঢাকা
  • রাত ৮টার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে
  • ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে সড়কে অবস্থান

বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই ইবিতে তুলেছিল কাওয়ালীর সুর

রবিউল আলম , ইবি

প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৩

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ শিক্ষার্থীদের স্মরণে এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জাগ্রত মঞ্চ' কর্তৃক আয়োজিত 'দ্রোহের গান ও কাওয়ালি সন্ধ্যা'র সুরের মূর্ছনায় বিমোহিত শিক্ষার্থীরা। তবে অন্যান্য ক্যাম্পাস থেকে একটু স্বতন্ত্র ইসলামিক নিয়মের মধ্যেই ঢোল, তবলা, হারমোনিয়াম ছাড়াই গানের সুর তুলেছিলেন ব্যতিক্রম সাংস্কৃতিক জোট।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের মধ্যবর্তী স্থানে এই কাওয়ালী আসরের আয়োজন করা হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, কবিতা, দ্রোহ ও দেশাত্মবোধক গান, জিকির, নাতে রাসুল ও কাউয়া কাদেরের চরিত্রে অভিনয়-সহ উপভোগ্য ছিল ব্যক্তিক্রমধর্মী সংস্কৃতির আমেজ।

ঢোল তবলা পরিহার করা, মেয়েদের আলাদা বসার জায়গার ব্যবস্থা ও অনুষ্ঠানের মাঝপথে একই মঞ্চে নামাজ আদায় করা-সহ শৃংঙ্খলার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত করতে পারায় ক্যাম্পাস ইতিহাসে সুন্দর ও ব্যতীক্রম আয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে যেকোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

উপভোগ করতে আসা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, অনেকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাস নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছিলো। কাওয়ালি সন্ধ্যার মাধ্যমে এ নিষ্প্রাণ ক্যাম্পাসে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। উপরন্তু ক্যাম্পাস জীবনের কয়েক বছরে এমন আয়োজন দেখিনি। সবাই যেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি। গোছানো ব্যবস্থাপনাই মূলত প্রশংসা দাবিদার ছিল। নিরাপত্তার বেষ্টনীতে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করছি।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নামের সাথে আমাদের সংস্কৃতির একটা পরিচয়ও থাকে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে ঢোল তবলা হারমোনিয়াম পরিহার করে শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠান উপহার দিতে। আমরা শুধু দফ ব্যবহার করেছি। দেখিয়ে দিলাম যে বাদ্যযন্ত্র ছাড়াও কাওয়ালি উপভোগ করা যায়। আমাদের ক্যাম্পাসে ব্যতিক্রম সাংস্কৃতিক জোট রয়েছে। তাদের প্রোগ্রাম দেখতে আগে টিকিট কেটে প্রবেশ করা লাগতো। সেই সময় ফিরে আসুক এবং সুস্থ সংস্কৃতি চলমান থাকুক।

ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমাদের এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ফসল আজকের এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। আমরা এতদিন এক ফ্যাসিবাদী সিস্টেমের মধ্যে ছিলাম। আমরা সংগ্রাম করে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি কিন্তু আমাদের যুদ্ধে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমরা রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। আগামী দিনে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হবে সকল মতের, সকল ধর্মের এক উর্বর ভূমি। তবে স্পষ্ট করে দিতে চাই, ১৭৫ একরে কোনো ধরনের আওয়ামী দোসর, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও তাদের সহযোগীদের এখানে ঠাঁই নাই। তাদের সাথে কোনো আপোষ নাই।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর