বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন চুক্তি না করার আহ্বান
  • সবার আগে বাংলাদেশ, এটিই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য
  • হাসিনার বক্তব্যের ফরেনসিক প্রতিবেদন উপস্থাপন
  • ঢাকাসহ ৮ জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি
  • শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়
  • শ্রমিকদের ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ
  • ‘শ্রমিক-মালিকদের যৌথ প্রচেষ্টাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে’
  • মালিক-শ্রমিক এক কাতারে দাঁড়ালেই সমাজের চিত্র বদলে যাবে
  • জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো বরিশালের আমড়া
  • বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’

লন্ডনে টিউলিপের আরেক ফ্ল্যাট, বিনামূল্যে দিয়েছিলেন ছোট বোনকে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:৪৩

ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের আরেকটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে। বিনামূল্যে ফ্ল্যাটটি নিজের ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তিকে দিয়েছিলেন তিনি।

ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপকে নিয়ে দ্য সানডে টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) প্রতিবেদনটি ছাপা হয়।

যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের (ট্রেজারি) অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টারের (ইকোনমিক সেক্রেটারি) দায়িত্ব পালন করছেন টিউলিপ। মন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতের অপরাধ-দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

দ্য সানডে টাইমস নিজ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডে একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন টিউলিপ। ফ্ল্যাটটি তার পরিবারকে দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন ‘বন্ধু’। শেখ হাসিনা সম্পর্কে টিউলিপের খালা। ফিঞ্চলে রোডের ফ্ল্যাটটি টিউলিপ বিনামূল্যে তার ছোট বোন আজমিনাকে দিয়ে দিয়েছিলেন।

খবরে আরও বলা হয়, ২০০৯ সালে ফিঞ্চলে রোডের ফ্ল্যাটটি আজমিনাকে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশি আইনজীবী মঈন গণি। তিনি শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ও ওই ফ্ল্যাটটির মালিক ছিলেন। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রে বলা হয়েছে, অর্থ বা আর্থিকমূল্য রয়েছে, এমন কিছু ছাড়াই ফ্ল্যাটটি আজমিনাকে দেওয়া হয়েছে। যে সময় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলে, সে সময় আজমিনার বয়স ছিল ১৮। তিনি অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করতে যাচ্ছিলেন।

টিউলিপ ফ্ল্যাটটিতে বসবাস করতেন, কিন্তু কোন সময় তিনি এটি ব্যবহার করতেন তা স্পষ্ট নয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ার্কিং মেনস কলেজের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে ফ্ল্যাটটি তালিকাভুক্ত করেন।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের ট্রাস্টি হন। সে সময় এবং একই বছর হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস অ্যান্ড ক্যাম্পডেন ট্রাস্টের ট্রাস্টি হওয়ার পর একই ঠিকানা ব্যবহার করেন টিউলিপ। তার স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সি ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত ফিঞ্চলে রোডের ফ্ল্যাটটি ঠিকানা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন। তখন টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের লেবার এমপি ছিলেন।

বোনের কাছ থেকে বিনামূল্যে পাওয়া ফ্ল্যাটটি ২০২১ সালে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করে দেন আজমিনা। তিনি টনি ব্লেয়ারস ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জে কাজ করেছিলেন। শিশুদের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেছেন সম্প্রতি।

এর আগে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে একটি অ্যাপার্টমেন্টের সন্ধান পাওয়া যায়, যেটি টিউলিপের নামে তালিকাভূক্ত। ২০০৪ সালে তিনি সেটি বিনামূল্যে পান আবদুল মোতালিফ নামে একজন আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে ফ্ল্যাটটি সম্পর্কে জানান দেয়। ওই প্রতিবেদনে আবদুল মোতালিফকে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর