রবিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৫, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ভারত-পাকিস্তানে কোনো সংঘাত চাই না
  • এনআইডির সাবেক ডিজির এনআইডি ব্লকের নির্দেশ
  • দক্ষিণাঞ্চলে গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের কমিটি
  • হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
  • ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে তিনদিনে ডিএমপির ৪৫৬৫ মামলা
  • রোম থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
  • ৩ মন্ত্রণালয়ের জন্য উপদেষ্টার জরুরি নির্দেশনা
  • হজযাত্রীদের সেবায় বিশেষ অ্যাপ উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউয়ের পরবর্তী শুনানি ১৮ মে
  • দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরি হবে

মেসির সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে তাঁকে ‘মারতে’ চেয়েছিলেন মার্সেলো

খেলা ডেস্ক

প্রকাশিত:
৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫

ফুটবল ইতিহাসেই সবচেয়ে বড় ম্যাচগুলোর একটি ‘এল ক্লাসিকো’। অনেকের মতে, ‘এল ক্লাসিকো’র চেয়ে বড় দ্বৈরথ আর নেই।

রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার দ্বৈরথ বিশ্বব্যাপী এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এক দলের তারকার সঙ্গে আরেক দলের তারকার খণ্ড খণ্ড লড়াইয়ের কারণেই।

এক দশক আগের কথা চিন্তা করুন। রিয়াল ডিফেন্ডার মার্সেলোর সঙ্গে বার্সা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসির ঝাঁজালো লড়াই এখনো অনেকের চোখে ভাসে।

মার্সেলো ছিলেন তাঁর সময়ের সেরা লেফটব্যাকদের একজন। খুব কম ফরোয়ার্ডই তাঁকে কাটিয়ে বল নিয়ে এগোতে পারতেন। তবে মেসি প্রায়ই মার্সেলোকে বোকা বানাতেন। একবার তো মেসিকে আটকাতে না পেরে মার্সেলো তাঁকে আঘাতও করতে চেয়েছিলেন! এ কথা মার্সেলো নিজেই জানিয়েছেন।

স্পেনের টেলিভিশন চ্যানেল ‘লা ১’-এর আলোচনা অনুষ্ঠান ‘লা রেভুয়েলতা’য় মার্সেলো বলেছেন, ‘আমি মেসির অনেক প্রশংসা করি। সে খুব দক্ষ এবং অবিশ্বাস্য ফুটবলার। আমি ভেবেছিলাম আপনি (অনুষ্ঠানের উপস্থাপক) আমাকে সেই ভিডিও দেখাবেন, যে ম্যাচে সে আমাকে বোকা বানিয়েছে। (ওই ম্যাচে) সে এতটাই গতিময় ছিল যে কখন আমাকে কাটিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে গেছে, তা দেখতেও পাইনি। ফাউল করার উদ্দেশ্যে আমি তাকে মারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। কারণ, সে খুব দ্রুত ছিল। তবে এতে সমস্যা নেই। আমি এমন এক জায়গায় জন্মেছি, যেখানে ড্রিবলিংয়ের শিকার হওয়ার চেয়ে সবাই ড্রিবলিংই করতে চায়।’

রিয়ালের হয়ে ১৫ বছরে ৫৪৬ ম্যাচ খেলেছেন মার্সেলো। জিতেছেন সম্ভাব্য সব শিরোপা। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন ৯ মৌসুম। যেহেতু রোনালদোর সঙ্গে আর মেসির বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নটা মার্সেলোকেও করা হয়েছিল—কে সেরা, মেসি নাকি রোনালদো?

উত্তরটা মার্সেলো দিয়েছেন দার্শনিকের মতো, ‘ক্রিস্টিয়ানো মনে করে সে-ই সেরা। একটা সময় ছিল, যখন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেত। কারণ, একজন যদি ২ গোল করত, আরেকজনকে ৩টি করতে হতো...আমরা এটা সরাসরি দেখেছি এবং বেশ উপভোগ করেছি। আমি দুজনের মধ্যে তুলনা পছন্দ করি না। অনেকেই তাদের তুলনা করতে গিয়ে উপভোগের বিষয়টি ভুলে গেছেন। আমরা ভাগ্যবান যে, মেসি ও ক্রিস্টিয়ানোর যুগে খেলতে পেরেছি।’

সম্প্রতি খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দিয়েছেন মার্সেলো। শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের হয়েই নিজের শেষ ম্যাচ খেলেছেন। ইউরোপীয় ফুটবলের পাট চুকালেও মেসি ও রোনালদোর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার এগিয়ে চলেছে আপন গতিতে। ৩৭ বছর বয়সী মেসি খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে, ৪০ পেরোনো রোনালদোর ঠিকানা সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসর।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর