প্রকাশিত:
৫ মার্চ ২০২৫, ১৫:৪১
মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এক যুবক জুলহাস, যিনি নিজের উদ্ভাবনী ক্ষমতা দিয়ে এক অবিশ্বাস্য কাজ করেছেন, একটি উড়োজাহাজ তৈরি করেছেন। সম্প্রতি, তার তৈরি উড়োজাহাজ ৫০ ফুট উঁচুতে উড্ডয়ন করতে সক্ষম হয়েছে, যা দেশের সাধারণ মানুষ এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, জুলহাসের এমন অসাধারণ সাফল্য সুদুর লন্ডনে বসে লক্ষ্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। রাতেই নির্দেশ দেন আমরা বিএনপি পরিবার এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন কে জুলহাস এর এই আবিস্কারের জন্য তার শুভেচ্ছা পৌছে দিতে।
সকালে এই প্রতিনিধি দল মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় জুলহাসের বাড়িতে যান এবং তার কাছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের শুভেচ্ছা জনান এবং তার উদ্ভাবনী কাজের প্রতি আন্তরিক সমর্থন জানান।
আমরা বিএনপি পরিবার এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, এই ধরনের মেধাবী যুবকরা আমাদের জাতির সম্পদ। তাদের সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবী এত এগিয়ে গেছে মানুষ এখন ড্রোন দিয়ে যুদ্ধ করে। আমরাও একদিন তোমাদের মাধ্যমে ড্রোন তৈরী করবো। বাংলাদেশ একদিন প্রযুক্তি নির্মাতাদেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাড়াবে। আমরা যদি জুলহাস এর মতো মেধাবীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে তারা দেশের সম্পদ হিসেবে অবদান রাখতে পারবে। যদি বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে তাকে দেশের কাজে লাগানোর আশ্বাস দেন।
তাকে উচ্চতর প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কিভাবে দেশের কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে তারেক রহমানের আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতাকে সম্মান দিতে হবে। অনেক মানুষ আছে যারা লেখাড়াপড়া নেই অথচ তিনি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে অনেকের চেয়ে এগিয়ে আছেন। আমাদের এসব অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করতে হবে।
জুলহাস এর এই কাজকে আরো এগিয়ে নিতে যে কোন ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেয় তারেক রহমানের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এসময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জুলহাস কে আর্থিক উপহার দেওয়া হয়।
জুলহাস বলেন, এই মুহূর্তে তার উড়োজাহাজের প্রযুক্তি আরও উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য এবং সরঞ্জাম দরকার। তারেক রহমানের দেওয়া এই উপহার তার এই প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে, এবং দেশের প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জুলহাস পঞ্চম। জিয়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে এসএসসি পাস করেন ২৮ বছরের এই যুবক। অর্থাভাবে আর পড়া হয়নি। ঢাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করেন।
মন্তব্য করুন: