রবিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৫, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে
  • শিক্ষা মানে শুধু ডিগ্রি নয়, ন্যায় ও পরিবেশ রক্ষার দায়বদ্ধতা
  • আমরা দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চাই
  • এবার বিপিএম-পিপিএম পদক পাচ্ছেন ৬২ পুলিশ সদস্য
  • রোমে বাংলাদেশ হাউস পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • কেউ যাতে নিপীড়নের মুখে না পড়ে এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াত
  • পোপকে শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় প্রধান উপদেষ্টা
  • আইন উপদেষ্টাকে নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন
  • বার কাউন্সিলের এমসিকিউ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে বাংলাদেশিদের প্রবেশ বেড়েছে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৫ মার্চ ২০২৫, ১৬:০১

চলতি বছরের প্রথম দুই মাস- জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ২৫ শতাংশ কমে প্রায় ২৫ হাজারে নেমেছে। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুট।

রুটটিতে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশ করে বাংলাদেশিরা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজের বৈধতা দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের চুক্তি হয় দালালদের সঙ্গে। তারপর এসব অভিবাসপ্রত্যাশীদের ঠেলে দেওয়া হয় বিপজ্জনক পথে। এসব তথ্য দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সীমান্ত বিষয়ক এজেন্সি ফ্রোনটেক্স।

এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি অভিবাসী ইউরোপে যান মালি, সেনেগাল ও গিনি থেকে। জাতিগত দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অভিবাসীর দিক দিয়ে আছে যথাক্রমে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও মালি।

গত দুই মাসে সবচেয়ে বেশি অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমাঞ্চলীয় বলকানদের মধ্যে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর শতকরা ৬৪ ভাগ কম অভিবাসী প্রবেশের চেষ্টা করেছেন এ অঞ্চল থেকে। মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অভিবাসী প্রবেশ বেড়েছে শতকরা ৪৮ ভাগ।

তবে ২০২৩ সালের তুলনায় এই সংখ্যা এখন অনেক কম। বছরটিতে এ পথে ইউরোপে গিয়েছেন ১২ হাজার মানুষ। অন্যদিকে এ বছর সে সংখ্যা ৬৮৬৩। এসব সত্ত্বেও এ রুটই এখন ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সক্রিয় রুট। এই রুট পরিচালনা করে লিবিয়ার পাচারকারীরা।

এই রুটে ইউরোপ যেতে হলে প্রতিজন অভিবাসীকে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ইউরো দিতে হয়। পশ্চিম আফ্রিকান রুটে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী গিয়েছে। তাদের সংখ্যা ৭১৮২। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা শতকরা ৪০ ভাগ কম। এই রুটে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী যান মালি, সেনেগাল ও গিনি থেকে। তৃতীয় করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হয় ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চল। সেখানে রেকর্ড করা হয়েছে ৬৫০০ অভিবাসী।

আগের বছরের তুলনায় এই রুটে অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে শতকরা ৩৫ ভাগ। শীতকালের কারণে এই রুটে ধীরে ধীরে কমেছে অভিবাসীর সংখ্যা। ফেব্রুয়ারিতে সেখানে নিবন্ধিত করা হয়েছে ২৭৫০ অভিবাসীকে। এই পথে বেশি অবৈধ অভিবাসী যান আফগানিস্তান, মিশর ও সুদান থেকে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ধারণা, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সমুদ্রে ২৪৮ জন মারা গেছেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩০০ জন।

এদিকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ কমেছে।

ফ্রন্টেক্স ইউরোপের সীমান্ত রক্ষায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহযোগিতা আরও জোরদার করেছে। ইইউ সীমান্ত ২ হাজার ৯০০ কর্মকর্তা মোতায়েন করেছে ফ্রান্টেক্স।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর