শনিবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৫, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে
  • শিক্ষা মানে শুধু ডিগ্রি নয়, ন্যায় ও পরিবেশ রক্ষার দায়বদ্ধতা
  • আমরা দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চাই
  • এবার বিপিএম-পিপিএম পদক পাচ্ছেন ৬২ পুলিশ সদস্য
  • রোমে বাংলাদেশ হাউস পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • কেউ যাতে নিপীড়নের মুখে না পড়ে এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াত
  • পোপকে শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় প্রধান উপদেষ্টা
  • আইন উপদেষ্টাকে নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন
  • বার কাউন্সিলের এমসিকিউ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

জেগে মশা, ঘুমিয়ে মাভাবিপ্রবি প্রশাসন

মশার কামড়ে অতিষ্ঠ মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

বিজয় সরকার মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১৬ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩০

টাঙ্গাইলের অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হল, শ্রেণিকক্ষ, বিজয়াঙ্গন,ক্যাফেটেরিয়া খাবারের দোকানসহ সর্বত্র মশার উপদ্রব।

শিক্ষার্থীরা জানান, দিনের বেলায় ক্যাম্পাসে মশার প্রকোপ আগে থেকে অনেক বেড়েছে। এছাড়া বিকাল থেকে রাত অবধি ঝাঁকে ঝাঁকে মশার উৎপাতে শান্তিতে বসে থাকা যায় না। সন্ধ্যার পর পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। আবাসিক হলগুলাতেও অবস্থা আরো বেশি খারাপ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো:হাবিবুল্লাহ বলেন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় মশা বেড়েছে। ফলে শান্তিতে বসার মতো পরিস্থিতি নেই। টং দোকান, ক্যাফে, একাডেমিক ভবনের নিচতলা এবং এর উপরে সব জায়গাতেই মশা উৎপাত করছে। এটা একই সঙ্গে যেমন অস্বস্তির, তেমন ভীতিরও।

কয়েকমাস সারাদেশেই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছিল চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু আমাদেরকে অনেক ভুগিয়েছে। যদি আমরা সতর্ক না হই, মশা নিধন না করি, তাহলে মশাবাহিত রোগব্যাধি বেড়ে যেতে পারে।”কর্তৃপক্ষ কাজ করছে, তবে এটা কার্যকরী হচ্ছে না; এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের আরও জোড়ালো ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন এই শিক্ষার্থী।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তোয়ানূর নাহার রিয়া বলেন, “মশার উৎপাত বেড়েই চলেছে। এইভাবে চলতে থাকলে আমরা অসুস্থ হয়ে যাব। মশারী ছাড়া ঘুমানোটা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।”একই কথা বলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হলের শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য বনিকসহ আরও অনেকেরই।

ঐশ্বর্য বনিক বলেন, আগে মশা তেমন ছিল না, এখন অনেক বেড়েছে। মশারি আর কয়েল ছাড়া রুমে ঘুমানো যায় না। মশা কানের কাছে ভনভন করে। বিশেষ করে হলের নিচতলায় মশা তুলনামূলক বেশি।মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে মশারি টাঙিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, স্থিরভাবে বসাই যায় না, একটু বসলেই মশার কামড়।

এ কারণ হিসেবে ক্যাম্পাসের ময়লা আবর্জনাকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা।

মশকনিধনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, যত্রতত্র বেড়ে ওঠা ঝোপঝাড় ও আগাছা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়োনিষ্কাশনের নর্দমা ও ময়লা ফেলার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার না করা এবং মশকনিধনে ওষুধ না ছিটানোয় মশার উপদ্রব বাড়ছে।

সমাপ্তি খান নামের একনারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলা ও অসচেতনতার কারণেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। হলরুম, লাইব্রেরি কিংবা আড্ডার স্থান কোথাও মশা থেকে রেহাই নেই। যেখানেই যাই চারিদিকে শুধু মশা আর মশা।

শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো:আসিফ হোসেন বলেন, ‘মশার লার্ভা নিধনে হলে এ পর্যন্ত একবারও ফগার মেশিন ব্যবহার করতে দেখি নাই । সন্ধ্যার পর কয়েল ছাড়া কক্ষে টেকাই যাচ্ছে না।’

সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, দিনের বেলা কম হলেও সন্ধ্যা নামার আগে আগে মশার উৎপাত ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সন্ধ্যার পর মুক্তমঞ্চ, সেন্ট্রাল ফিল্ড ও তৃতীয় একাডেমিক সহ ক্যাম্পাসের কোথাও বসা মুশকিল। ক্যাম্পাসের হল গুলোর ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনেক খারাপ,নোংরা পানি জমে রয়েছে । এছাড়া ক্যাম্পাসে যত্রতত্র ময়লা-আর্বজনার স্তূপের কারণেই মশার প্রকোপ বাড়ছে।হলের চারপাশ ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড় তো রয়েছে। মশা নিধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশেষ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

মশক নিধনে কি কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের পরিচালক ড. মোঃ আশরাফ আলী আমাদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয় একটি খোলামেলা জায়গা চারদিকে খাল বেষ্টিত যা সচল নহে, এখানে পশু হাসপাতালসহ খাল সংলগ্ন অত্র এলাকার জনসাধারণ ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে মশার উৎপত্তি হয় তাছাড়াও বর্তমানে আবহাওয়াগত সিজনাল কারণে সারা বাংলাদেশে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। তদুপরি পৌরসভা জনবলের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ক্যাম্পাসে মশা মারার স্প্রে করা অব্যাহত আছে। এছাড়াও এস্টেট অফিসের উদ্যোগে পৌরসভার জনবল দিয়ে বিভিন্ন অফিস ও হলের চাহিদার প্রেক্ষিতে মশা ও অন্যান্য বিষাক্ত কীট পতঙ্গ নিধনের ওষুধ স্প্রে করা হয়। উল্লেখ্য যে এস্টেট অফিসের মশক নিধনে স্প্রে করার অভিজ্ঞ জনবল নেই।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর