প্রকাশিত:
১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৪১
কুষ্টিয়ার রিক্সাচালক সুরমান হত্যার ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবী এখন সর্বত্র। ঘটনাটি ঘটে কুষ্টিয়ার থানাপাড়ার জি কে বালিরঘাট এলাকায়।
জানা যায় ঈদের দিন ঐ এলাকার হাকিমের বাড়ি থেকে ১০ লাখ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হয়। ১০ এপ্রিল সকালে চোর সন্দেহে সুরমান আলীকে আটক করে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর চাপে সুরমান আলী চুরির দায় তাঁর ছোট ভাই আশরাফুলের উপর চাপিয়ে টাকা এবং স্বর্নালংকার ফেরত দিবে বলে জানালে উপস্থিত লোকজন তাঁকে তাঁর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
সুরমান আলী যথারীতি তাঁর বাড়িতে যেয়ে প্যান্ট শার্ট পরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় যা এলাকার অনেকেই দেখেছে।
কিন্তু সে আর ফিরে আসেনি। পরদিন গলায় গামছা পেঁচানো তাঁর গলায় গামছা পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সুরমান আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে আব্দুল হাকিম এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।
কুষ্টিয়ার রিক্সাচালক সুরমান(৩৫) হত্যার নেপথ্যের ঘটনার সুষ্ঠু সঠিক তদন্ত হলেই বেরিয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর ঘটনা এমনটি মনে করছেন এলাকার সূধী মহল। চুরির ঘটনার সাথে সে জড়িত এবং চোর চক্রের কাছে চুরির মাল ফেরত আনতে যেয়েই চোরচক্রের সদস্যদের হাতেই সুরমানের মৃত্যু হতে পারে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছে।
অপরদিকে বিভিন্ন মহলের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে-নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কৌশলে মোটা অংকের টাকা অথবা শহরের বাড়ি তাদেও নামে লিখে দিলেই মামলা তুলেনিবে বলে শোনা যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন-, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের প্রতিবেশি হাকিম, তার স্ত্রী ও মেয়েকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। মামলার মোটিভ নিয়ে আলোচলা হচ্ছে। তদন্তে মাধ্যমে সঠিক তথ্য পাওযা যাবে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন-মামলার আসামী পক্ষ চুরির ঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে। বিষয়টি সঠিক ঘটনা তুলে আনতে আমরা কাজ করছি।
মন্তব্য করুন: