প্রকাশিত:
২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫
চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির আওতায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ৩০ জন পুরুষ এবং একজন নারী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব ব্যক্তিকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান এবং বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফেরত আসা নাগরিকদের মধ্যে তিনজনকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ নজরদারিতে দেশে আনা হয়। অন্যদের পাঠানো হয়েছে বাণিজ্যিক ও চার্টার্ড ফ্লাইটে। সর্বশেষ গত শনিবার চার্টার্ড একটি ফ্লাইটে পাঁচজন বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছান।
নোয়াখালীর এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাকে সম্মানের সঙ্গে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং কোনো ধরনের অপমানজনক আচরণের সম্মুখীন হতে হয়নি। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন, তবে সেটি গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পর্যায়ে শুরু থেকেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বিভিন্ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে অবৈধ অভিবাসীদের তালিকা তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। এরপর যাচাই-বাছাই করে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই পুরো প্রক্রিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। ফেরত আসা নাগরিকদের পুনর্বাসনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাককে সম্পৃক্ত করার চিন্তাভাবনাও চলছে। সংস্থাটি বিমানবন্দরে প্রবাস ফেরতদের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর শরিফুল হাসান বলেন, আমরা নিয়মিত বিমানবন্দরে ফেরত আসা অভিবাসীদের সহায়তা করি এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিং এবং আর্থিক সহায়তা দিতে পারি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা আরোপ করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া জোরদার হয়, যার মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছেন।
মন্তব্য করুন: