বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
  • কোম্পানির মুনাফার জায়গা গোখাদ্য হতে পারে না
  • রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
  • যুদ্ধাবস্থায় আছি, পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে
  • গত ১৫ বছর পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল
  • এলজিইডির ৩৬টি কার্যালয়ে দুদকের অভিযান চলছে
  • রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থন ছাড়া কিছুই বাস্তবায়ন হবে না
  • প্রবাসীদের ‘ভোটিং সিস্টেম’ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকে ইসি

পথশিশু ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ দল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৭

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ভারতের চেন্নাইয়ে শুরু হতে যাচ্ছে পথশিশু ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর। এতে অংশ নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ দল। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে আয়োজিত পথশিশু ক্রিকেট বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সময় বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক পরিচিতির বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সেখানে পথশিশু ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের পরিচয় করিয়ে দেয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন।

এই সংস্থার খুদে ক্রিকেটাররাই এবারের পথশিশু ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন আসাদ উল্লাহ আসাদ এবং অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন হাসান আলী মুসাফির। এছাড়া টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-অধিনায়ক ইমন ইসলাম, খেলোয়াড় হাসিব, রুবেল, আফরিন খাতুন, সাথী, রাজিয়া, জেসমিন, স্বপ্না, হামিদা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লিডোর তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পথশিশু ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত গৌরবের। বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন ও সহায়তায় খেলায় প্রতিনিধিত্ব করা পথশিশুদের পাসপোর্ট প্রাপ্তি ও ভিসা আবেদন সম্পন্ন হয়েছে।

 

তিনি আরো জানান, পথশিশু ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুধু প্রতিভা বিকাশের একটি মঞ্চ নয়, বরং বিশ্বব্যাপী অসহায়-সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের অধিকার রক্ষায় বৈশ্বিক সচেতনতার একটি মাধ্যম। এই আয়োজন বিশ্বব্যাপী পথশিশুদের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিডোর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের তাবৎ পথশিশুদের হয়ে বৈশ্বিক প্রতিনিধিত্ব করার যে অভিযানে আমরা অংশ নিতে চলেছি, তা সত্যিই অবিশ্বাস্যভাবে গর্বের। আমাদের এই আয়োজন বিশ্বব্যাপী পথশিশুদের অধিকার রক্ষায় আওয়াজ তুলবে এবং তা পথশিশুদের পরিচয় এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

এবারের আসরে বাংলাদেশ দলের স্পন্সর হিসেবে কাজ করেছে ফ্রেন্ডস অব স্ট্রিট চিলড্রেন বাংলাদেশ, কেএফসি ফুড ফ্র্যাঞ্চাইজি ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড, ইনার হুইল ক্লাব ঢাকা নর্থ ওয়েস্ট, লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ, আইডিপি এডুকেশন এবং এএইচজেড অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ইনার হুইল ক্লাব ঢাকা নর্থ ওয়েস্টের ভাইস চেয়ারম্যান রাখী চৌধুরী বলেন, এসব পথশিশুদের পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটা আমাদের জন্য গর্বের। আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

ফ্রেন্ডস অব স্ট্রিট চিলড্রেন বাংলাদেশের চেয়ারপারসন মাইক শেরিফ বলেন, আমরা লিডোকে সমর্থন দিচ্ছি। এই বিশ্বকাপ পথশিশুদের জন্য আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ দলের কোচ আসাদ উল্লাহ আসাদ বলেন, এই পথশিশুরা তিন-চার বছর ধরে বিশ্বকাপ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি আমার একাডেমি থেকে তাদের প্রস্তুত করেছি। যেহেতু তারা তিন -চার বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে, বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলেছে, তাই তারা আত্মবিশ্বাসী। আমরা অভিজ্ঞ এবং নতুনদের সমন্বয়ে এই বিশ্বকাপ খেলার জন্য একটি দল তৈরি করেছি।

দলের অধিনায়ক হাসান আলী মুসাফির বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্র্যাক্টিস করেছি। আমাদের দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমরা জিতে আসতে পারি।

উল্লেখ্য, আগামী ২০-৩০ সেপ্টেম্বরে ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পথশিশু ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর। এতে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের ২৪টি দল অংশ নেবে।

শ্রী দায়া ফাউন্ডেশনসহ ভারতের বেশ কয়েকটি সংস্থার সহায়তায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্ট্রিট চাইল্ড ইউনাইটেডের নেতৃত্বে আয়োজিত হচ্ছে বিশ্বকাপের এবারের আসর।

এ বছর বিশ্বকাপের মূল প্রতিপাদ্য ‘পরিচয় এবং প্রবেশাধিকার’ অর্থাৎ মৌলিক পরিষেবাগুলিতে পথশিশুদের প্রাপ্যতা এবং তাদের অংশগ্রহণকে জোরালো করা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর