বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ার্ড সচিব ঘুষ গ্রহণকালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার
  • নির্বাচন কমিশন সংস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না
  • পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে দোহা থেকে রোমে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • আইসিটির দুর্নীতি তদন্ত ও শ্বেতপত্র প্রণয়নে টাস্কফোর্স
  • তুরস্ক ও আমিরাত সফরে প্রধান বিচারপতি
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
  • দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে
  • নতুন দল নিবন্ধনে সময় বাড়িয়ে গণবিজ্ঞপ্তি
  • অতিরিক্ত হর্ন বাজানো শুধু আইন লঙ্ঘন নয় আচরণগত অবক্ষয়ও
  • ঢাকায় আসছেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন ভিনিসিয়ুস

খেলা ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:২৫

রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র মাঠের বাইরে ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তার জন্য বেশ পরিচিত। ক্যারিয়ারের সোনালি সময়ে থাকা সত্ত্বেও তিনি একাধিক পেশাদার ফুটবল ক্লাবের মালিকানায় বিনিয়োগ করেছেন।

তবে এই ব্যবসায়িক বিস্তার এবার তার জন্য বিপাকের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইতালিয়ান সাংবাদিক জিয়ানলুকা দি মার্জিওর বরাত ধরে মার্কা জানিয়েছে, ফিফার এথিক্স কমিটির কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা পড়েছে। সে অভিযোগে ভিনিসিয়ুসের বিরুদ্ধে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়েছে।

গত ৭ এপ্রিল ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি তিবেরিস হোলদিং দো ব্রাজিল ফিফার কাছে অভিযোগ করে যে, একজন সক্রিয় পেশাদার ফুটবলার হিসেবে ভিনিসিয়ুস সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ক্লাবের মালিক হতে পারেন না। এতে স্বার্থের সংঘাত ও প্রতিযোগিতার স্বচ্ছতা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, যা ফিফার নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।

এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে অল আজেন্সিয়ামেন্তো এস্পোর্তিভো নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি পরিচালনা করেন ভিনিসিয়ুসের বাবা এবং এজেন্ট থাসসিলো সোয়ারেস। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভিনিসিয়ুস ব্রাজিলের অ্যাথলেটিক ক্লাব দে সাও জোয়াও দেল রেইয়ের অংশীদার হয়েছেন। ক্লাবটি সম্প্রতি ব্রাজিলের সেরি বি-তে উন্নীত হয়েছে।

তিবেরিসের দাবি, তাদের ১৬.৫% শেয়ার থাকা সত্ত্বেও ক্লাবের শেয়ার বিক্রির সময় তাদের প্রথম প্রস্তাব জানার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। যদিও সাও পাওলো কোর্ট এই বিক্রি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতা শুরু হয়েছে, তবুও ভিনিসিয়ুসের কোম্পানি ইতিমধ্যেই ক্লাবের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছে তিবেরিস।

তবে এখানেই শেষ নয়। ভিনিসিয়ুসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে পর্তুগিজ ক্লাব আলভেরসার সঙ্গেও, যেখানে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব থেকে রাফায়েল কনসেইসাও নামে এক খেলোয়াড়কে ধারে পাঠানো হয়েছে। এই লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তিবেরিস ফিফার আর্টিকেল ২০ এবং স্পেনের আর্টিকেল ২২ অনুযায়ী এ বিষয়টিকে নৈতিক লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে। এই ধরণের লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে জরিমানা, বাধ্যতামূলক ক্লাব বিক্রি, এমনকি খেলোয়াড়কে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পদক্ষেপও নেওয়া যেতে পারে।

বর্তমানে ফিফা বিষয়টি পর্যালোচনায় রেখেছে। সিদ্ধান্ত এলে তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে—তবে এই অভিযোগ ভিনিসিয়ুসকে যে বিপাকে ফেলে দিচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর